আপনজন ডেস্ক: ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের বিউগল বাজিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার বলেছেন, বিজেপির “পরবর্তী বড় লক্ষ্য” হল নির্বাচনে জয়ের পরে রাজ্যে সরকার গঠন করা। তিনি বলেন, লাল ভাই দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গ শাসন করেছেন। কংগ্রেসও রাজ্যে দীর্ঘদিন কাজ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসও অনেকটা সময় কাটিয়েছে এবং তাদের সময় শেষ। এখন একমাত্র বিকল্প বিজেপি। আর এই কারণেই আমি এখানে বিজেপির সমস্ত কর্মীদের কাছে রাজ্যে একটি শক্তিশালী দল গঠনের আবেদন জানাতে এসেছি। রাজ্যে দলের সদস্যপদ অভিযান কর্মসূচির সূচনা উপলক্ষে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, প্রতিটি বাড়ি, প্রতিটি শহর এবং প্রতিটি গ্রামে তাদের পৌঁছানো উচিত। শাহ রাজ্য থেকে এক কোটি দলীয় সদস্যকে তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন। তিনি বলেন, বিজেপির পরবর্তী বড় টার্গেট ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় করা। অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে হামলার মতো বড় ইস্যুগুলির সমাধান করার একমাত্র উপায় হল তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে হঠিয়ে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করা। মমতার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট অনুপ্রবেশে’ মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর হামলা এবং আরজি কর হাসপাতালে এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলায় মহিলারা সুরক্ষিত নন। অমিত শাহ বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে গোটা বাংলা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। রাজ্য সরকারের মদদে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের রমরমা। তাই বাংলাকে বাঁচাতে, দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়তে এবং বাংলায় পরিবর্তন আনতে বিজেপিকে জয়যুক্ত করতে হবে।
বিজেপির এই নেতা প্রতিশ্রুতি দেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায় অনুপ্রবেশসহ গরু পাচার, কয়লা পাচার বন্ধ হবে। বন্ধ হবে দুর্নীতি আর কাটমানির (ঘুষ) রমরমা ব্যবসা। ২০২৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে আর রোখা যাবে না। বিজেপিই এই বাংলায় এসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র হয়ে এই বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবে।পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সর্বশেষ বিধানসভার নির্বাচন হয়েছিল ২০২১ সালে। সেসময় বাংলা দখল করছেই বলে বিজেপি আশা করলেও মাত্র ৭৭টি আসন পায়। পরে বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলে সেই সংখ্যা কমে যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct