সুব্রত রায় , কলকাতা, আপনজন: জল জমা আমাদের হাতে নয়, বিধাতার হাতে। কখন কোথায় জল দেবে সেটা সেই জানে। শনিবার অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। ফলে জল জমেছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় জল বেরিয়ে গেছে। পাম্পিং স্টেশনের ভিতরে জল ঢুকেছিল। দুপুরের পরেই আমরা পাম্প চালিয়েছি। তার মধ্যে ভবানীপুরের একটা দুর্ঘটনা ঘটছে প্রাইভেট বাড়িতে একটা রেলিংয়ের হাত দিয়ে মারা গেয়েছেন। নিশ্চয় জল জমেছিল। কিন্তু পৌর সংস্থার হাতে মাজিক নয়। কিছু জায়গায় এখনো আছে ১২৭/১২৮/১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে জল আছে। শনিবার কলকাতা পুরসভায় শহরে জল জমা নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন,আমার অত্যন্ত খারাপ লাগছে যে একটা যুবক ছেলে মারা গেছে। গতকাল যেহুতু অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল তাই বাতির স্তম্ভ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। তাই যদি বাতি স্তম্ভ খুলা থাকত তখন আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে। আমি বলছি জল পড়েছে। আমাদের থেকে সবচেয়ে বেশি বড় দেশ আমেরিকা সেখানে ও তিন দিন জল জমেছিল। কিন্তু স্বাভিক পরিস্থিতির জন্য আমরা নিকাশি ব্যবস্থা করেছি। ডিসেলটিং করেছি। নরমাল সিচুয়েশন ছিল। তাই জল জমেছে।জল তো জল। জলকে বার করার জন্য সময় লাগবে। ২০ থেকে যদি ২০০ মিলিমিটার জল হয়েছে। হাওড়ার ঘটনা দুঃখজনক। আমরা এখন রিপোর্ট পায়নি। আমরা রিপোর্ট দিতে বলেছি। রিপোর্ট আসলে মৃত্যু কারণ বলতে পারব। কেন হঠাৎ পড়ে মৃত্যু হয়েছে। অনেক জায়গায় ভ্যাট আছে। তার জন্যই নিকাশি ব্যবস্থা অনেক সময় প্রভাব পড়ছে। বৃষ্টি হচ্ছে রাস্তার শত্রু। আগামীকাল থেকে কাজ শুরু হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct