আপনজন ডেস্ক: তুরস্কের বিমানবাহিনী সিরিয়া ও ইরাকের কুর্দিস্তানে ঘাঁটি করা সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। তুরস্কের একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানিতে হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই আক্রমণ করা হয়। এর আগে তুরস্কে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ড্রোন হামলার মাধ্যমে ৩২টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে। তবে কোন এলাকায় এ হামলা চালানো হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি টিইউএসএএস সামরিক ও বেসামরিক বিমান, ড্রোন, এবং মহাকাশ প্রযুক্তি তৈরি করে। সেখানে কুর্দি গোষ্ঠীর হামলা এবং তুরস্কের আকাশসীমায় বিস্ফোরক স্থাপনের ঘটনার জবাবে দেশটির বিমানবাহিনী হামলা চালায়। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলের, উভয়েই এই হামলার পেছনে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এর জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুলের বলেন, ‘আমরা পিকেকের সন্ত্রাসীদের প্রতিবারই তাদের প্রাপ্য শাস্তি দিই, কিন্তু তাদের হুশ ফেরে না। সন্ত্রাসীরা পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলতে থাকবে। পিকেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগেও তুরস্ক পিকেকের বিরুদ্ধে উত্তর ইরাকে সামরিক অভিযান চালিয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ইরাকের পার্বত্য অঞ্চল হাকুরক, গারা, এবং কান্দিলে পিকেকের ২৪টি ঘাঁটি, বসতি এবং অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়। পিকেকে দীর্ঘদিন ধরে ইরাকের উত্তরাঞ্চলকে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে, যেখানে ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাব সীমিত এবং কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের (KRG) কর্তৃত্ব বেশি।
তুরস্কের সামরিক অভিযানের কারণে পিকেকের উপস্থিতি তুরস্কের ভেতরে কমে গেলেও, তারা তাদের কার্যক্রম ইরাকের উত্তরাঞ্চল ও মাউন্ট কান্দিল অঞ্চলে স্থানান্তর করছে। এটা তুরস্কের সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct