নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওড়া আপনজন: আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’।তার আগে হাওড়ার শালিমার স্টেশনের রেল ইয়ার্ডে ট্রেনের চাকায় বাঁধা হলো চেন তালা।দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকরা জানান, ঝড়ের দাপটে দাঁড়িয়ে থাকা বগি গড়িয়ে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।রেলের সম্পত্তির ক্ষতি হতে পারে।সেকারনে বগিগুলোর চাকা চেন তালা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় বুধবার বিকেলে। শুধু তাই নয়, শালিমার স্টেশনে একটি হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে রেলের তরফে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে রেল যাত্রীরা ঐ হেল্প ডেক্সে এলে সাহায্য পাবেন। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেল বৃহস্পতিবার রাত থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ছটা থেকে টানা ১৫ ঘন্টা বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে। গঙ্গায় পারাপার করা লঞ্চ ও নৌকা পরিষেবা বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই বন্ধ রাখা হচ্ছে।। দিঘা প্রায় পর্যটক শূন্য হয়ে গেছে। তারপরেও যারা রয়েছেন তারা যাতে সমুদ্রের দিকে এগোতে না পারে এর জন্য সমস্ত সমুদ্রের এন্ট্রি রোড পয়েন্ট - এ বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। লালবাজার কন্ট্রোলরুমে বুধবার থেকেই নজরদারি শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।কলকাতা পুলিশের আওতা ভুক্ত বন্দর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সতর্কতা মূলক মাইকিং করা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের তরফে। এদিকে,ঘূর্ণিঝড় “ডানা’ মোকাবেলায় এবার বিমান চলাচল বন্ধ করা হল। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৬টা থেকে পরের দিন ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সমস্ত ধরনের বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের সাবধান বার্তা পাওয়ার পরই কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। শুধু তাই নয় যে বিমান গুলি কলকাতা বিমানবন্দরে থাকবে সেগুলোর যাতে কোন ক্ষতি না হয়, প্রয়োজন বোধে সেগুলোকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখাও হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের পর অতি দ্রুত যাতে কলকাতা বিমানবন্দর রানওয়ে থেকে জমা জল নিষ্কাশন হয় সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এদিকে, বুধবার
সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দিঘা ও মন্দারমনির সমুদ্র উপকূল এলাকা জুড়ে। প্রশাসনের বার্তা অনুযায়ী একে একে মৎস্যজীবীরা পাড়ে ফিরে এসেছেন দুপুরের মধ্যে। সমুদ্র উপকূল এলাকায় যে সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলি রয়েছে নির্দেশ অনুসারে আজ দুপুর ১২ টার মধ্যে প্রশাসন নির্দেশ দেন পর্যটকদের হোটেল ছেড়ে দেওয়ার জন্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর শুনে একের পর এক পর্যটকেরা তারা হোটেল ছেড়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন। পুরীর পর দিঘা কার্যত পর্যটক শূন্য হয়ে যায় বুধবার সন্ধ্যের মধ্যে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তর সহ সব দপ্তরের কর্মীরা যথেষ্ট তৎপর রয়েছে ডানার মোকাবেলা করার জন্য। যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রশাসন দুর্গত মানুষদের পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct