সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সকাল নটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত সরকারী হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগ চালু থাকে। বর্তমানে এমন পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট সময়ের পরও বর্হিঃবিভাগে অতিরিক্ত ৬ ঘন্টারও বেশি সময় রোগী দেখলেন। এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। রোগীদের কথায় যা স্বাধীনতার পর বিরল নিদর্শন। সুন্দরবনের বৃহত্তম হাসপাতাল ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। যেখানে প্রতিদিনই ক্যানিং ১, ক্যানিং ২, বাসন্তী,গোসাবা সহ অন্যান্য ব্লকের হাজার হাজার রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবার জন্য আসেন। এমনটা নিত্য দিনের ঘটনা। এছাড়াও ভিন জেলা থেকেও রোগীরা আসেন চিকিৎসা পরিষেবার জন্য। এখানে বর্হিঃবিভাগ খোলা হয় সকাল ন’টায়। বন্ধ হয় দুপুর দুটোয়। বর্হিঃবিভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘন্টা রোগী দেখে চলেছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের অস্থি বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ কার্তিক নাসিপুরি। অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকাল ন’টায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগ শুরু হয়েছিল। শেষ হয় দুপুর দুটো নাগাদ। দুপুর দুটোর পর ও অস্থি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘরে সামনে তিনশো’র বেশি রোগীর দীর্ঘ লাইন। রোগীরা ভেবেছিলেন দুটোর পর হয়তো বর্হিঃবিভাগ বন্ধ হয়ে যাবে। চিকিৎসক চলে যাবেন। কিন্তু না,সেই বিরল নিদর্শন এর সাক্ষী থাকলো গোটা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। অস্থি বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ কার্তিক নাসিপুরি একের পর এক রোগী দেখে চলেছেন। এই সংবাদ যখন লেখা হয় তখন সন্ধ্যা ছটা। তখনো প্রায় শতাধিক রোগীর ভিড়। ঘটনা প্রসঙ্গে ডাঃ কার্তিক নাসিপুরি জানিয়েছেন, যতক্ষণ রোগী থাকবেন তিনি ততক্ষণ এই বর্হিঃবিভাগে রোগীদের চিকিৎসা করবেন। কারণ বহু দূরদুরান্ত থেকে রোগীরা এসেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct