আপনজন ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইহুদিবাদী শত্রুরা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং নৃশংসতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। রবিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, আরব দেশগুলো এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতাই ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে। উত্তর গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার জন্য ইসরায়েলের আগ্রাসন দিন দিন বেড়েই চলেছে।
রোববার এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, আরব দেশ, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ‘নব্য নাৎসিবাদীদের’ নেতৃত্বে সংঘটিত গণহত্যা বন্ধের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) বলেছে, হত্যা এবং বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি জনসংখ্যাকে ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠছে ইসরায়েল। ওই এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে দখলদার বাহিনী।
গাজার জাবালিয়া, বেইত হানুন এবং বেইত লাহিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় ৮৭ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় একটি সম্পূর্ণ আবাসিক ব্লক মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৬০৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৯ হাজার ৭৯৫ জন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct