আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ১৬ বছরের এক দলিত কিশোরকে এবার ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল একদল ছাত্রের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার একটি কথিত ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে, পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের ধারায় এফআইআর দায়ের করতে প্ররোচিত করে।
ঘাটমপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ রঞ্জিত কুমার জানিয়েছেন, দলিত সম্প্রদায়ের এক ছেলের ইনস্টাগ্রাম স্ট্যাটাসে বি আর আম্বেদকরের ছবি দেখে মারধর করা হয় একদল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে।
পরে ওই কিশোরকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হয়। হামলাকারীরা তার ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে বলে জানিয়েছেন এসিপি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে সেন পশ্চিম পাড়া থানা এলাকায় অবস্থিত একটি ইন্টার কলেজের বাইরে জয় শ্রী রাম স্লোগান না দেওয়ায় হাইস্কুলের এক দলিত ছাত্রকে মারধর করে অর্ধ ডজনেরও বেশি ছাত্র। এরপর তাদের জোর করে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। শিক্ষার্থীরা এর একটি ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও করে। রবিবার নির্যাতিতা ছাত্রী ও তার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী ছাত্রের মতে, সে ও তার পরিবার বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী। যার কারণে সে তার বড় ভাইয়ের মোবাইল থেকে বাবা ভীমরাও এবং অন্যান্য অনুগামীদের পোস্ট ইন্টারনেট মিডিয়ায় ভাইরাল করে চলেছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরের ছুটির পর স্কুলের অর্ধশতাধিক ইন্টারমিডিয়েট ও হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে বলেন।
প্রতিবাদ করলে তারা জাতিগত গালিগালাজ দিয়ে মারধর শুরু করে। অভিযুক্ত ছাত্ররা জানিয়েছেন, দলিতরা প্রায়ই ইন্টারনেটে সনাতন বিরোধী পোস্ট ভাইরাল করে। ওই ছাত্রকে এ ধরনের পোস্ট না দিতে বলা হলে সে গালিগালাজ শুরু করে। অভিযুক্ত ছাত্ররা হামলার কথা অস্বীকার করেছে। থানার ইনচার্জ গৌতম সিং জানিয়েছেন, নির্যাতিতা এবং অভিযুক্ত ছাত্ররা সবাই নাবালক। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct