আপনজন ডেস্ক: তিনি জীবনের শেষ মুহূর্তেও ইসরাইলের বিরুদ্ধে বীরের মতো লড়াই করে শহীদের মৃত্যু বরণ করেছেন। গোটা পৃথিবী তার জন্য কাঁদছে। মরেও তিনি অমর হয়ে গেছেন। তিনি হচ্ছেন হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বত্র। একইসাথে তার বীরত্বগাঁথা মৃত্যুর প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। হামাস প্রধানের বীরের মতো লড়াইয়ের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরাইলি হামলায় সিনওয়ার গুরুতর আহত হলেন। দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি হারিয়ে একটা সোফার উপর বসে পড়লেন।এরপর তারা একটা ড্রোন প্রেরণ করল। সিনওয়ারের ডান হাতের ক্ষতস্থান থেকে তখন রক্ত ঝরছে। শরীর নিস্তেজ হয়ে আসছে। এরমধ্যেও শরীরের সবটুকু শক্তি সঞ্চয় করে বাম হাত দিয়ে একটা লাঠি তুলে ছুঁড়ে মারেন ড্রোনটার দিকে।অবশেষে ইসরায়েলি স্নাইপারের গুলিতে শাহাদাতবরণ করলেন সাহসী এই প্রতিরোধ যোদ্ধা। মুসলিম বিশ্ব সিনওয়ারের এই মৃত্যুকে বীরত্বপূর্ণ মৃত্যু বলে মনে করে। জীবনের শেষ মুহূর্তেও বীরের মতো লড়াই করে শাহাদাতবরণ করায় গর্ব বোধ করছেন গাজাবাসী। তার বীরত্বের প্রশংসা করে নেটিজেনরা বলছে, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবনের শেষ মুহুর্তেও লড়াই চালিয়ে শহীদ হলেন। এরকম বীরের মতো মৃত্যুর বিবরণ কয়েক দশকে একবার পাওয়া যায়। আর পাওয়া যায় সাহিত্যে, মহাকাব্যে। সিনওয়ার বুধবার শাহাদাতবরণ করেন। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়। ফেসবুকে মুহাম্মদ মুরাদ মিয়া লিখেছেন, প্রথমে ট্যাঙ্ক থেকে শেল নিক্ষেপ করা হলো। সঙ্গী চার যোদ্ধাই শাহাদাত বরণ করলেন।বেঁচে রইলেন শুধু ইয়াহইয়া সিনওয়ার।এরপর রকেট লঞ্চার থেকে মিসাইল নিক্ষেপ করা হলো।সিনওয়ার গুরুতর আহত হলেন।দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি হারিয়ে একটা সোফার উপর বসে পড়লেন। এরপর তারা একটা ড্রোন প্রেরণ করল। সিনওয়ারের ডান হাতের ক্ষতস্থান থেকে তখন রক্ত ঝরছে।তার শরীর নিস্তেজ হয়ে আসছে।এরমধ্যেও শরীরের সবটুকু শক্তি সঞ্চয় করে বাম হাত দিয়ে একটা লাঠি তুলে ছুঁড়ে মারলেন ড্রোনটার দিকে।
অবশেষে ইসরায়েলি স্নাইপারের গুলিতে শাহাদাত বরণ করলেন।এরকম বীরের মতো মৃত্যুর বিবরণ কয়েক দশকে একবার পাওয়া যায়।আর পাওয়া যায় সাহিত্যে, মহাকাব্যে।ইয়াহইয়া সিনওয়ার আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া মহাকাব্যিক লড়াইয়ের সবচেয়ে সাহসী যোদ্ধা।অমর মহানায়ক। অপর আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগপর্যন্ত লড়াই করে গেছে। কয়জন নেতা তার সৈনিকদের সাথে যুদ্ধের ময়দানে থাকে? শেষপর্যন্ত ইসরায়েল বলে গেছে যে হামাস নেতারা নাকি যুদ্ধ বাঁধিয়ে বাইরে চলে গেছে কিন্তু তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এই দৃশ্য বিপ্লবকে দীর্ঘজীবী করবে। নব্য উপনিবেশবাদ ধ্বংস হোক।
মুফতি মুহসিন উদ্দিন লিখেছেন, উনি একজন যোদ্ধা, বীর, আমাদের অহংকার। উনার শাহাদাত আমাদেরকে পথ দেখাবে, উনার আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সাহস, শক্তি যোগাবে।
কাজী মোঃ হাবিব লিখেছেন, প্রতিটি মুসলিম পরিবারের সন্তান যেনো ইয়াহিয়া সিনওয়ার এর মতো হয়।ইমানি শক্তি, দেশপ্রেম যেনো তাদের মতো প্রতিটি রক্তের কণায় কণায় থাকে। কিভাবে দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হয় তার শ্রেষ্ট উদাহরণ হচ্ছে এই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা। আল্লাহ যেনো আমার ভাইদের পৃথিবীর শ্রেষ্ট বিজয় দান করেন।আমিন
আবু মেহমেত টিপু লিখেছেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবনের শেষ মুহুর্তেও লড়াই চালিয়ে শহীদ হলেন। ইউরোপ- আমেরিকা যেখানেই জীবন থাকবে, সেখানেই মৃত্যূর স্বাদ গ্রহন করতে হবে কিন্তু সেই মৃত্যুই উত্তম যা লড়াইয়ের ময়দানে হয়...শাহাদাতের মাধ্যমে।
পূর্বের এক বক্তৃতায় সিনওয়ার নিজের মুখে বলেছিলেন, হার্ট অ্যাটাক বা গাড়ি দুর্ঘটনার চেয়ে তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে মারা যেতে চান। সেই বক্তৃতার ভিডিও ফিলিস্তিনিরা অনলাইনে বারবার শেয়ার করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct