দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: তৃণমূলের মালদা জেলা চেয়ারম্যান আর জেলা সভাপতির সম্পর্ক ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, তা মাপছেন বিরোধী নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজনও।রতুয়া-১ ব্লক অফিসের সামনে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়। তার ফ্লেক্সও সেখানে সাঁটা রয়েছে। পুজোর আগে পর্যন্ত এই পার্টি অফিসেই বসতেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় আর জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসি। এলাকার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে এই পার্টি অফিসে প্রায় রোজ আনাগোনা রয়েছে রহিম বকসির।
কিন্তু সম্প্রতি এই অফিস থেকে শ’দুয়েক মিটার দূরে একটি ভাড়াবাড়িতে নতুন অফিসের উদ্বোধন করেছেন সমরবাবু। পুরোনো অফিস থেকে ফ্যান, এসি মেশিন সহ নিজের আমলের সবকিছুই নতুন অফিসে নিয়ে গিয়েছেন সমরবাবুর অনুগামীরা। সেই অফিসে যান না রহিম বকসি। আবার পুরোনো অফিসে আর যাননি সমরবাবুও। এই অবস্থায় দু’জনের অনুগামীরাই চিন্তায়, তাঁরা কোন অফিসে যাবেন।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর ফিসফাস থাকলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা কেউ কিছু বলবেন না বলে জানিয়ে দেন। সম্প্রতি দক্ষিণ মালদার সাংসদ ইশা খান চৌধুরী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার গঙ্গার ভাঙন রোধের কাজের জন্য ১২০০ কোটি টাকা দিয়েছে। সম্ভবত সেই টাকার ভাগ নিয়েই দু’জনের মধ্যে মনমালিন্য হয়েছে। এখন সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে। এটা ওদের কর্মীরাও জানে। তবে ফের এরা দু’জন একজোট হবে।’
সিপিএমের রতুয়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলছেন, ‘তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক দল নয়। কয়েকটা ধান্দাবাজ একজোট হয়ে তৃণমূল গঠন করেছে। গিয়েছে। কে টাকা তুলবে, তা নিয়েই ঝামেলা। তবে এদের নিয়ে কোনও মন্তব্য না করাই বেশি ভালো।’ আবদুর রহিম বকসি বলছেন, ‘কোনও পার্টি অফিসের পাশে আরেকটা অফিস হয় না। ওখানে একটা নতুন পার্টি অফিস হয়েছে। আগের ঘরটা কোনও পার্টি অফিস ছিল না। লোকজন আসত। বসত। এখন যেখানে পার্টি অফিস করা হয়েছে, সেটাই আসল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রতুয়ায় আমরা সবাই একজোট হয়ে আছি। বিরোধীরা চেষ্টা করেও আমাদের মধ্যে ভাঙন ধরাতে পারবে না।’ এদিকে, সমরবাবুর দাবি, ‘রতুয়া-১ ব্লকে ১৪টি অঞ্চল। । আগের অফিসটা ছিলই। নতুন আরেকটি করা হয়েছে। তবে এটা শুধু বিধায়কের নয়, চেয়ারম্যান, সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য সহ সবার।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct