সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: কথা দিয়ে কথা রাখলেন রাজ্য সরকার , দামোদর নদী বাঁধ ভেঙ্গে জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছিল একাধিক গ্রাম , এলাকা থেকে জল নামতেই বাঁধ নির্মাণে তৎপর- প্রশাসন ।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছিল বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের সমিতি মানা, রাঙ্গামাটি , কেনেটিমানা, উত্তর নিত্যানন্দপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম । জলের তলায় চলে গিয়েছিল হাজার হাজার বিঘা সবজির জমি , জলের তলায় ছিল একাধিক বাড়ি , গৃহবন্দী হয়ে পড়েছিলেন বহু মানুষ। ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এলাকায়। বেশ কয়েক জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছিল এবং সেই বাঁধ দিয়ে গ্রামে জল ঢুকেছিল।
এই পরিস্থিতিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর এলাকা থেকে কিছুটা জল নামতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের সাথে কথা বলতে এবং এলাকা পরিদর্শন করতে গ্রামে পৌঁছে যান বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন , বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি , বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা । আধিকারিকদের দেখে গ্রামের মানুষের একটাই দাবি ছিল তাদের নদী বাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে এবং বাঁধের উচ্চতা বাড়াতে হবে। আধিকারিকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বন্যা কবলিতা এলাকার মানুষদের । তাদের কথামতো এবার প্রশাসনিক তৎপরতায় শুরু হল নদী বাঁধ নির্মাণ ও বাঁধের উচ্চতা বাড়ানোর কাজ। রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে কাজ ।
প্রশাসনিক এই তৎপরতায় ব্যাপক খুশি এলাকার মানুষজন । স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন , এতে করে তাদের হয়তো কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে বন্যার সময় । তবে এই বাঁধ যদি কংক্রিটের তৈরি করা হতো তবে স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct