সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে , ভাঙড়, আপনজন: অবিভক্ত ভাঙড় এখন কলকাতা পুলিশের আওতায়। ২ টি ব্লক ও ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উত্তরতম এই জনপদ। ২০২৩ শের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তপাতের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাঙড় রাজ্য পুলিশ থেকে কলকাতা পুলিসের অধিনে আসে। সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগ রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশের উপর। এর থেকে খাকি পোশাকের পুলিশই ভাল ছিল বলে মানুষের অভিমত। এবার কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন খোদ শাসক দলের নেতা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার “তোলাবাজি” অভিযোগের তীরে বিদ্ধ পুলিশ।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার যাদবপুর-ডায়মন্ডহারবার সাংগাঠনিক জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি সাবিরুল ইসলাম সরাসরি কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে তোলাবাজি করার অভিযোগ এনেছেন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ বাহারুল ইসলামের ভাই সাবিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিস কে ভাঙড়ে পাঠিয়েছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য না অত্যাচার করার জন্য? আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি দয়া করে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিসের অত্যাচার থেকে বাঁচান। আমি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করছি ভাঙড়ের মানুষ কে রক্ষা করুন। এই অত্যাচার আমরা সহ্য করতে পারছি না। ইট গাঁথতে গেলে কলকাতা পুলিশ এসে আটকে দিচ্ছে। কলকাতা পুলিসের কাছে আমার প্রশ্ন একটাই---অনুমতি পঞ্চায়েত, ব্লক ভুমি আধিকারিকের দফতর থেকে করব নাকি থানা থেকে করব?’
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সুজা উদ্দিন মোল্লা নামের ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের জাগুলগাছি অঞ্চলের এক ব্যক্তির পৈতৃক জমির উপর নির্মিত ঘরে ছাদ ঢালাই হচ্ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক আছে বলেই তার দাবি। অভিযোগ ভাঙড় থানার পুলিশ কাজ বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের থানায় তুলে নিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা সাংবাদিকদের জানান রাজ্য পুলিশের সময় এমন সমস্যা হত না। কলকাতা পুলিশ এসেই যত সমস্যা। তাদের অভিযোগ পুলিশ টাকা খাওয়ার জন্য এমন করছে। এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি সাবিরুল ইসলাম।
পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে কোনো পুলিশ আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব হয়নি “আপনজন” প্রতিনিধির পক্ষে।
উল্লেখ্য, এর আগে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সওকাত মোল্লাও কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনিও পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct