নিজস্ব প্রতিবেদক ,বসিরহাট , আপনজন: আরজি কর কান্ড নিয়ে ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বসিরহাটের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সরব হলেন ‘পশ্চিমবঙ্গ নাগরিক সমাজে’র কর্মকর্তারা । সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছাত্তার গাজী বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। হাসপাতাল থেকে জনগণ যতটুকু সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিল সেটাও বঞ্চিত হবে। জনগণের হাসপাতালে ভর্তির জন্য তারা যে ডিজিটাল সিস্টেমের কথা বলছে তার মধ্য দিয়ে হাসপাতালে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না, রোগীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধি পাবে । যে আগে সুযোগ পাবে সেই ভর্তি হতে পারবে । পাশাপাশি শূন্য পদ পূরনের ক্ষেত্রে শুধু আমাদের রাজ্যের হাসপাতালগুলো নয়, গোটা ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি দপ্তর গুলিতেই এই অবস্থা রয়েছে। এটার মধ্যে নতুন কিছু নেই। গোটা সরকারি দপ্তর গুলোতেই শূন্য পদ পূরণের দাবি করলে তার একটা মানে দাঁড়াতো । আমাদের রাজ্যে ছয়টি উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চেহারা কি রূপ নেবে তা আমরা সহজেই অনুমান করতে পারছি । এমনকি আমাদের দেশের বাঘা বাঘা বিপ্লবী দল এক জায়গায় হতে পারবেনা! বিপ্লবীরা বলছে শাসক পক্ষকে জনগণ সহ্য করতে পারছে না । কিন্তু ওরা যে ক্ষমতায় আসবে সে কথাও বলার সাহস নেই । এবারের জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তাররা মিলে যে বিপ্লবটা করতে চাইছিল তার বারোটা বেজে যাবে ! কেউ কেউ বলতে শুরু করেছে আন্দোলনকে যখন রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে তখন আন্দোলনেও রাজনৈতিক নেতৃত্বে চলব ! তার মানে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গেছে! এই আন্দোলনের নামে রাজ্যে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। উপনির্বাচনে জনগণই হয়তো তার উচিত শিক্ষাই দেবেন বলেও মন্তব্য করেন গোলাম ছাত্তার গাজী। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ নাগরিক সমাজে’র কোষাধক্ষ্য বিধান গাইন, কবি আব্দুল্লাহ সাহাজী, মনোজ মল্লিক প্রমুখ ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct