আপনজন ডেস্ক: জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন শিশুদের মৌলিক অধিকার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ড ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সাংবিধানিক সুরক্ষা থাকা সত্ত্বেও মাদ্রাসায় পড়া শিশুদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন। কমিশন বলেছে, “আরটিই আইন ২০০৯ এর অধীনে কেবলমাত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পড়া শিশুরা পিছিয়ে পড়ছে, তাদের শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের ৩০টি মাদ্রাসায় ৭৪৯ জন অমুসলিম শিশু ভর্তি রয়েছে। জাতীয় শিশু অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো সমস্ত রাজ্যে মাদ্রাসা বোর্ড ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন।
কানুনগো বলেন, ‘আমরা সব মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে মাদ্রাসা বোর্ড ভেঙে দিয়ে শিশুদের স্কুলে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছি। উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারপার্সন মুফতি শামুন কাসমি বলেন, উত্তরাখণ্ডের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলি এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে। এনসিইআরটি-র পরিবর্তে যদি কোনও মাদ্রাসা ধর্মীয় শিক্ষা শেখানো হয় তবে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জাাননো হয়েছে। কাসমির আশ্বাস জাতীয় মানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের জন্য উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ডের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। উল্লেখ্য, সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ২৪,০১০টি মাদ্রাসা রয়েছে, যার মধ্যে ৪১৬টি উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত। সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এই প্রতিষ্ঠানগুলি সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct