আয়াজ আহমদ মাঝারভূঁইয়া, আপনজন: ইরান এমন একটি দেশ - যার কাছে সুপার পাওয়ার আমেরিকাও অসহায়। ইরান যদি চায় তবে আধা পৃথিবীর অর্থনীতি কিছু সময়ের ভেতর মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারবে। কারণ, ইরান যে জায়গায় অবস্থিত - সে জায়গা দিয়ে পৃথিবীর ৪০ শতাংশ তেল ও মাল সাপ্লাই হয়। ইরান একটি ছোট দেশ কিন্তু এর তুলনা আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশের সাথে করা হয়। যেখানে ইরানের সুরক্ষা বাজেট মাত্র ৬ আরব ডলার সেখানে আমেরিকার সুরক্ষা বাজেট ৫৮৭ আরব ডলার। ইরানের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ধর্ষ সেনা আছে। ৬ লাখ ৭০ হাজারের বেশি সেনা ইরানের আছে। ইরানের কাছে ৫৫১ মিলিটারি এয়ারক্রাফট, ৪০০০ ট্যাংক ও ৬৫,০০০ বখতরবন্দ গাড়ি মজুদ আছে। যা কোনো দেশের অর্থনীতি বরবাদ করার জন্য যথেষ্ট। আমেরিকান গোয়েন্দা দফতরের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান মিডিল ইস্টের একমাত্র দেশ - যার কাছে সবচেয়ে বেশি ব্যালেস্টিক মিসাইল আছে। কিছু দিন আগে রাশিয়া ইরানকে এমন একটি খতরনাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়েছে। যার মাধ্যমে ইরান ইজরায়েল ও আমেরিকার যে কোনো মিসাইল ধ্বংস করতে পারবে। উল্লেখ্য, এই ডিফেন্স সিস্টেমের নাম – S-400। যেটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে খতরনাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মানা হয়। বলা হচ্ছে, এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে যে কোনো দিক থেকে আসা ফাইটার জেট, মিসাইল, ড্রোন অথবা হেলিকপ্টার লক্ষ্যবস্তু বানানো যাবে। এই ডিফেন্স সিস্টেম বহনযোগ্য অর্থাৎ এটি যে কোনো জায়গায় নিরাপদে নিয়ে মিসাইল ছুঁড়া যায়। এটিকে S-400 এজন্য বলা হয়-কারণ, এটির আঘাত করার ক্ষমতা ৪০০ কিঃমিঃ হয়। অর্থ্যাৎ এটি ৪০০ কিঃমিঃ দূরের যে কোনো মিসাইলকে ভূপতিত করতে পারে। এটি একসাথে ৩২টি টার্গেট বা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। রাশিয়া ও চীন ইরানের সাথে মিলে কিছু weapon system develop করেছে ও অনেক বেশি উৎপাদন করে রেখেছে যে western dominance ও weapon technology এবং অস্ত্র বিক্রি এক প্রকারের চ্যালেঞ্জের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। ইরানের কিছু অস্ত্র যে অস্ত্র ইজরায়েলের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। যেমন : ১/ মুটার্স :- যে কোনো বিল্ডিং উড়িয়ে দিতে সক্ষম। সাধারণ যুদ্ধাও এটা বানাতে পারবে। বহনযোগ্য, হালকা ও স্বল্প খরচে তৈরি করা যায়। ইরানের প্রক্সি হামাস, হুতি ও হিজবুল্লাহ র Mass produce করে থাকে। ২/ কামাকাজি ড্রোনস। ৩/ হাইয়ার লেভেল ক্রজ মিসাইলস ও ৪/ চুড়ান্তে ব্যালেস্টিক মিসাইলস। এছাড়া বাবর-৩৭৩, এস-৩০০ ও খুরদাদ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইরানের কাছে আছে। ইরানের এসব যুদ্ধাস্ত্রের ভয়ে ইজরায়েল আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের সাহায্য নিয়ে একটি মাল্টিলিয়ারড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে তৈরী করতে বাধ্য হয়েছে। র একটি অংশ মাত্র– “ আয়রন ডোম”! এখন শোনা যাচ্ছে, ইরান নাকি মাটির ১০ কিঃমিঃ গভীরে পরমাণু বা নিউক্লিয়ার টেস্ট করেছে। যাকে ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ক্ষমতায় সমতা নির্ধারণকারী রূপে বিবেচনা করা হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct