সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম শেখ, বীরভূম, আপনজন:পুজোর আগেই তিহার জেল থেকে ছাড়া পান অনুব্রত মন্ডল।জেলায় ফিরতেই দলীয় কর্মীদের মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছাস।সবুজ রঙের আবির খেলা,মিষ্টি বিতরণ ইত্যাদি কর্মসূচি পালিত হয়।পুজোর আগেই জেলা জুড়ে তৃনমূল কর্মীদের মধ্যে আনন্দ সংবাদের আনন্দ ভাগ করে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে।এরপর সদ্য শেষ হয়েছে শারদীয়া দুর্গোৎসব।চলছে শুভেচ্ছা বিনিময় পর্ব। সেটাকে সামনে রেখে জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ব্লক ভিত্তিক বিজয়া সম্মিলনীর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার মুরারই এক নম্বর ব্লকের গরুর হাটের মাঠ থেকে দীর্ঘ দুবছর পর ফের রাজনৈতিক ময়দানে অবতীর্ণ হলেন অনুব্রত মণ্ডল বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যে দিয়ে। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির মুখে শোনা গেল শান্তির বার্তা। সামনে ২৬ এর নির্বাচন সকলকে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।মুরারই পশু হাটের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "আমরা কেউ নেতা নই, আমরা সবাই দলীয় কর্মী । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে কাজ করুন ৷ মানুষের পাশে থাকুন, উন্নয়নের সঙ্গে থাকুন ৷ মারামারি ঝগড়াঝাঁটি করবেন না । এতে ভালো কোনও বার্তা যায় না ।" অনুব্রত মন্ডলের এধরণের
ভাষনে কর্মীরা অভ্যস্ত নই।
এব্যাপারে রাজনৈতিক মহলের অভিমত , অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যে আর সেই আগের মতো ঝাঁঝ নেই ৷ আগে কেষ্ট'র বক্তব্য মানেই নতুনত্ব চটক, নিদান, বিতর্ক, হুঁশিয়ারি, হুমকির সুর থাকত ৷ এখন সেই অনুব্রতর গলায় শোনা গেল 'শান্তির বার্তা'।মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায় বীরভূমের বাঘ নামে পরিচিত জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল নিজেকে অনেকটাই পাল্টে ফেলেছেন।প্রভাবশালীর তকমা যেন না ওঠে সেটা লক্ষনীয়।তাইতো এখন আর সেই দাপটও দেখাচ্ছেন না, হুমকিও নেই। বরং বলা যেতে পারে বেশ মার্জিত সচেতন। কথাবার্তাতে অন্তত তাই মনে হয়েছে সবার এদিনের বিজয়া সম্মেলন থেকে।পর পর অন্যান্য ব্লকের জন্য ও বিজয়া সম্মিলনীর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct