সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: ওয়েষ্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস্ ফোরামে’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে ‘বাঁকুড়া বাসী দিচ্ছে ডাক, আমার দুর্গা বিচার পাক’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘রক্ত দেবো, জীবন দেবো, দিদির বিচার ছিনিয়ে নেবো’ লেখা পোষ্টার হাতে ‘দ্রোহের মিছিলে’ অংশ নিলেন অসংখ্য মানুষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে শাঁখ বাজিয়ে মিছিলের সূচনা হয়। আন্দোলনকারী ও এদিন অনশনে অংশ নেওয়া জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে অসংখ্য সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই মিছিলে পথ হেঁটেছেন।
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষে সুষমা ভক্ত, মেঘা চক্রবর্ত্তীরা বলেন, মাটির প্রতিমা নিয়ে কার্নিভালে দেবী নেই, দশ দফা দাবি নিয়ে আমাদের সিনিয়র চিকিৎসকরা অনশনের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, কিন্তু প্রশাসন নির্বাক। মানুষ উৎসবে নেই, এই বিপ্লব আন্দোলনে আছেন, তাঁরা তা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। বিচার আমাদের ছিনিয়ে নিতে হবে, নেতাজীর সন্তান আমরা, আমরা তা পারবো। সেকারণেই ‘ন্যায়ের দাবি’তে এই আন্দোলন চলবে বলে তারা জানান।
আর.জি করের ঘটনার বিচার, রাজ্য স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ সহ ১০ দফা দাবিতে ‘প্রতিবাদী অনশনে’ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। আই.এম.এর ডাকে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে প্রতিবাদ মঞ্চে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা ব্যাপি অনশন করেছেন তাঁরা।
এদিন অনশন মঞ্চে বসেই প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসকরা আর.জি করের ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবিতে সরব হন। প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতেও মুহুর্ম্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
অনশনকারী ডাঃ অভিষেক চৌধুরী, ডাঃ সোনালী ধবলরা বলেন, প্রায় আড়াই মাস হয়ে গেল, এখনো বিচার পাইনি। এমনকি আমাদের ১০ দফা দাবিও মানা হয়নি। এই অবস্থায় বিচার, সহ অন্যান্য দাবি পূরণের দাবির পাশাপাশি কলকাতার ধর্মতলার অনশনকারীদের প্রতি পূর্ণ সমর্থণ জানিয়ে আমরাও অনশনে বসেছি। একই সঙ্গে এদিন বিকেলে ‘দ্রোহের কার্ণিভালে’ও তাঁরা যোগ দেবেন বলে জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct