মোহাম্মদ জাকারিয়া, ডালখোলা, আপনজন: ঝাড়খণ্ডে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে নির্মম পরিণতির শিকার হলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলার জাকির হোসেন। ২৫ সেপ্টেম্বর বাড়ি ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন ঠিকাদার মোহাম্মদ মুসার ছেলে জাকির। কিন্তু ২৬ সেপ্টেম্বর অপহরণের শিকার হন তিনি। পরিবারের সঙ্গে শেষ কথোপকথনে দাবি করা হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ। কিন্তু এরপর আর তার কোনো খোঁজ মেলেনি। মঙ্গলবার তার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রামে।উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের হেমানপুর চাঙ্গাটোলি গ্রামের বাসিন্দা, ৩৪ বছর বয়সী জাকির হোসেন পেশায় একজন ঠিকাদার ছিলেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলায় কাজের জন্য যান, যেখানে তাকে পরদিন অপহরণ করা হয় বলে পরিবার সূত্রে খবর পাওয়া যায়। অপহরণের পর দুষ্কৃতিরা মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। যদিও তার পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা পাঠানোর আগেই, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জাকির হোসেনের পিতা মোহাম্মদ মুসা জানিয়েছেন, “আমার ছেলে একবার ফোনে বলেছিল, যদি ৫০ হাজার টাকা না দিই, তাহলে তাকে মেরে ফেলা হবে। এরপর আমরা ওই নাম্বারে যোগাযোগ করতে চাইলে সেটি সুইচ অফ পাই।” পরিবারের সদস্যরা এখন দোষীদের কঠোর শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।মৃত জাকির হোসেনের পিতা-মাতা ছাড়াও, তার বাড়িতে রয়েছেন ২৮ বছর বয়সী স্ত্রী সেরিনা বিবি এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে। ১৩ নম্বর জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুর রহিম জানান, “জাকির হোসেনকে হত্যা করে তার মৃতদেহ জঙ্গলের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। আমরা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” সমগ্র ঘটনা এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct