আপনজন ডেস্ক: দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংসপুরীতে রূপ নেয়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থীতিকে যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া পরমাণু বোমার আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া জাপানের হিরোশিমা শহরের পরিস্থীতির সঙ্গে তুলনা করেছেন চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী সংগঠন নিহন হিদানকিও -এর নেতা তোশিয়ুকা মিমাকি।
পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ায় কাজ করে যাওয়া নিহন হিদানকিও -এর এই নেতা নোবেল জয়ের প্রতিক্রিয়ায় জানান, গাজার কর্মীরা এ পুরস্কারের যোগ্য ছিল।
নোবেল জয়ের প্রতিক্রিয়ায় গাজার বর্তমান পরিস্থীতির সঙ্গে হিরোশিমার তুলনা করেন পারমাণবিক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়া এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে ভেবেছিলাম গাজার লোকেরা কঠোর পরিশ্রম করবে, যেমনটি আমরা দেখেছি। গাজায় রক্তাক্ত শিশুদের তাদের পিতামাতারা আটকে রেখেছে। এটা ৮০ বছর আগের জাপানের মতো।’
এদিকে তার এমন মন্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। জাপানে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত তার এ তুলনাকে ‘আপত্তিকর এবং ভিত্তিহীন’ বলে আক্রমণ করেছেন এবং বলেছেন- এ ধরনের তুলনা ‘ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অসম্মান করে।’
এর আগে গত আগস্টে ১৯৪৫ সালের পারমাণবিক বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে; যার প্রতিক্রিয়ায় জাপানে আমেরিকান এবং ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতরা ঘোষণা করেন তারা নিহতদের স্মরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না।
উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় মার্কিন বোমা হামলায় কমপক্ষে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল এবং এর তিন দিন পরে নাগাসাকিতে আরও ৭৪ হাজার মানুষ মারা যায়। নিহন হিদানকিও বিস্ফোরণের স্মরণে এবং পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রচারণার জন্য বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলায় গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪২ হাজার ২৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; যার মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি শিশু এবং মহিলা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct