আপনজন ডেস্ক: পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত বসতি স্থাপনকারীদের অবৈধ ফাঁড়ি ও চারটি সংগঠনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ব্রিটেন নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ফেব্রুয়ারির পর লন্ডনের পক্ষ থেকে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আরোপিত তৃতীয় দফা পদক্ষেপ। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা বসতিগুলোর মধ্যে রয়েছে তিরজা ভ্যালি ফার্ম ফাঁড়ি, মেতারিম ফাঁড়ি ও শুভি ইরেৎজ ফাঁড়ি। আর সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় স্কুল ওদ ইয়োসেফ চাই ইয়েশিভা, এনজিও হাশোমের ইয়োশ, দাতব্য সংস্থা তোরাত লেচিমা ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আমানা। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, ইসরায়েলি সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তা...দায়মুক্তির পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে পেরেছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের এই পদক্ষেপগুলো মানবাধিকারের এমন জঘন্য লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সহায়তা করবে।’ একই সঙ্গে তিনি ইসরায়েলকে ‘বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা কঠোরভাবে দমন ও ফিলিস্তিনি ভূমিতে বসতি সম্প্রসারণ বন্ধ’ করার আহ্বান জানান। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে হাশোমের ইয়োশও রয়েছে। লন্ডনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, এই সংগঠনটি ‘অবৈধ ফাঁড়ির জন্য স্বেচ্ছাসেবক সরবরাহ করে’। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা এই বছর একটি গ্রামে বেড়া দিয়েছে, যাতে জোরপূর্বক উৎখাত হওয়া ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বাসিন্দা ফিরে আসতে না পারে। হামাস গত বছর অক্টোবরে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানোর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে গেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানায়, জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনী দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে এক কিশোরও ছিল। ওই শহরে প্রায়ই সামরিক অভিযান পরিচালিত হয়। রামাল্লাভিত্তিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, গত এক বছরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের হাতে সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct