নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: সাধারণ বদলি নেওয়া মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন চালু রাখার দাবি জানালেন তৃণমূল পন্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতারা। এই ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষকদের একাংশ জানান, এ রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত প্রাপ্ত বাংলা ও উর্দু মাধ্যম ৬১৪ টি মাদ্রাসার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের রাজ্যজুড়ে সাধারণ বদলির যে সুপারিশ পত্র প্রদান করছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন, তাকে মান্যতা দিয়ে ইচ্ছুক মাদ্রাসা গুলি সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখের মধ্যেই প্রার্থীদের নতুন মাদ্রাসাতে যোগদানের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার প্রদান করে। কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা কাজে যোগদান করেন ২৩ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে। অধিকাংশ শিক্ষকরা তাদের রিলিজ নেওয়ার আগে সেপ্টেম্বরে মাসের বেতন অনলাইনে আগের মাদ্রাসা থেকেই নিয়েছেন। নতুন মাদ্রসাতে যোগদানের পর নিয়ম অনুসারে তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক (D.I.) কিংবা অতিরিক্ত জেলা মাধ্যমিক পরিদর্শক (ADI) এর দফতরে পাঠিয়ে পুনরায় অ্যাপ্রুভাল করাতে হয়। মাদ্রাসা শিক্ষকদের মতে, এই ক্ষেত্রে কিছু কিছু সমস্যা আছে, যা তড়িঘড়ি মেটানো একটু অসুবিধাজনক। যেমন যেসমস্ত প্রার্থীদের জেলা পরিবর্তন হয়েছে তাদের লাস্ট পে সার্টিফিকেট বা LPC তে জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক (D.I.) কিংবা অতিরিক্ত জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক (ADI) এর কাউন্টার সাইন (counter signsture) করা হলে তবেই তাকে গ্রাহ্য করা হয়। অক্টোবর মাসে মাত্র তিন দিন কর্মদিবস থাকার পর অফিসগুলিতে দুর্গা ও লক্ষ্মী পুজোর ছুটি পড়ে গেছে। ফলে যারা অন্য জেলায় বদলি হয়ে গেছেন তাদের লাস্ট পে সার্টিফিকেট এর কাউন্টার সাইন এর জন্য অ্যাপ্রুভাল আটকে গেছে। আবার যারা নিজের জেলাতেই বদলি নিয়েছেন তাদের সকলের অ্যাপ্রুভাল করা এত অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব নয় বলে মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবি। তাই অনেকের আশঙ্কা হল যদি বেতন চালু না হয় তাহলে অক্টোবর এর বেতন এরিয়ার হয়ে যাবে। লেট এপ্রুভাল এর কারণে একবার এরিয়ার হয়ে গেলে সেই বেতন পুনরুদ্ধার করা অনেক ঝামেলার। পুজোর মাসে বেতন এর সমস্যা হলে পুজোর আনন্দটাও ফিকে হয়ে যাবে। এবিষয়ে তৃণমূল পন্থী মাদ্রাসা শিক্ষক নেতা আবু সুফিয়ান পাইক বলেন, বদলি হওয়া শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের বেতন বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ অধিকাংশ জেলার আধিকারিকগন অতি তৎপরতার সাথে অ্যাপ্রুভাল করে দিয়েছেন। যাদের একান্তই অ্যাপ্রুভাল হয় নি তাদের পুরোনো অ্যাপ্রুভাল সহ বদলি হওয়া প্রার্থীদের নিজ নিজ প্রোফাইল আগের মাদ্রাসা থেকে নতুন মাদ্রাসাতে ট্র্যান্সফার করিয়ে নিয়ে ডি. আই কিংবা A.D.I এর নিকট থেকে বেতন এর অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে অন্যান্য নথিপত্রের সাথে অনলাইন স্যালারি পোর্টাল (iosms) এর মাধ্যমে প্রার্থীর পে স্লিপ Pay Slip) টা প্রামাণ্য নথি হিসেবে যাতে বিবেচনা করা হয় তার জন্য জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকদের নিকট আবেদন জানানো হয়েছে।
আশা করি যাদের সমস্যা আছে তা পুজোর পর যেদিন কর্মদিবস শুরু হবে ওই দিন বেতন এর অনুমোদন করিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। প্রতি মাসের দশ তারিখের মধ্যে স্যালারি রিকুইজিশন পাঠানোর নির্দেশ আছে ঠিকই, কিন্তু বদলি হওয়া শিক্ষকদের দিকে লক্ষ্য রেখে বেতন এর রিকুইজিশনটা একটা দেরি করে যাতে সাবমিট করার অনুমতি মেলে তার জন্য জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে ।।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct