আপনজন ডেস্ক: গোয়ালিয়রে প্রথম ম্যাচে রান তাড়ায় ১১.৫ ওভারে ১৩২ রান। দিল্লিতে দ্বিতীয় ম্যাচে ২০ ওভারে ২২১। এরপর ভারতের ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচে। সঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরি ও সূর্যকুমার যাদবের ফিফটিতে ভর করে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ রান তোলে ভারত।
সিরিজের তিন ম্যাচেই বাংলাদেশের বোলারদের মনোবল দুমড়েমুচড়ে একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছে ভারত। সিরিজে ভারত ওভারপ্রতি রান তুলেছে ১২.৫৪ করে। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টির ১৯ বছরের ইতিহাসে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে কিংবা টুর্নামেন্টে কোনো দলের এত বেশি রান রেট ছিল না। হিসাবটা কোনো ধরনের মানদণ্ড ছাড়াই করা, যেমন সিরিজ বা টুর্নামেন্টে ন্যূনতম কয়টি ম্যাচ খেলতে হবে সেই বাধ্যবাধকতা বাদ দিয়ে করা।
ভারত ভেঙেছে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে ওভারপ্রতি ১২.১০ রান করেছিল প্রোটিয়ারা। এমন বেধড়ক ব্যাটিংয়ের পরও অবশ্য সিরিজটা জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের সিরিজটা ২–১ ব্যবধানে হেরে যায় স্বাগতিকেরা। সিরিজজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজও সিরিজে ওভারপ্রতি ১২.০৭ গড়ে রান তুলেছিল। ইতিহাসে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।
দুই দল মিলিয়েই সেই সিরিজে ওভারপ্রতি রান রেট ছিল ১২.০৮। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে আর কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টে ওভারপ্রতি ১১ রানও হয়নি। সিরিজ বা টুর্নামেন্টের এই হিসেবে বাংলাদেশ–ভারত সিরিজটা আছে ৩১ নম্বরে। সিরিজটা এত নিচে থাকার দায়টা পুরোপুরিই বাংলাদেশের। বাংলাদেশ যে সিরিজে ওভারপ্রতি রান করেছে ৭.১১। তাতে ভারতের বিশ্ব রেকর্ডের পরও দুদল মিলে ওভারপ্রতি রান ৯.৬৩।
সিরিজটিতে অবশ্য ওভারপ্রতি রান ছাড়াও সব বিভাগেই ভারতের চেয়ে যোজন ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ভারত যেখানে প্রতি ৩৬.১১ রানে একটি উইকেট হারিয়েছে, বাংলাদেশ হারিয়েছে ১৬.৩৮ রানে। সিরিজে ভারতের চেয়ে ২২৪ রান কম করেছে বাংলাদেশ। ছক্কার হিসেবে তো ভারত প্রায় চার গুণ এগিয়ে—বাংলাদেশ ১২, ভারত ৪৪।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct