আপনজন ডেস্ক: জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর) সুপারিশ করেছে যে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি মাদ্রাসা বোর্ডগুলিতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিক এবং শেষ পর্যন্ত সেগুলি বন্ধ করে দিক।
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে এনসিপিসিআর চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইন (আরটিই) অনুসারে বর্তমানে মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়া অমুসলিম শিশুদের মূলধারার স্কুলে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশগুলি মুসলিম সম্প্রদায়ের শিশুদের শিক্ষার অবস্থা অধ্যয়ন করার পরে প্রস্তুত একটি বিস্তৃত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
কানুনগোর মতে, এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য ভারতের সমস্ত শিশু যাতে একটি নিরাপদ এবং উৎপাদনশীল পরিবেশে বেড়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা।
প্রতিবেদনটি একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে যা দেশজুড়ে সমস্ত শিশু নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং উত্পাদনশীল পরিবেশে বেড়ে উঠবে তা নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে তারা জাতি গঠন প্রক্রিয়ায় আরও সামগ্রিক ও প্রভাবশালী উপায়ে অর্থবহ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেন, কমিশন গত নয় বছর ধরে এই বিষয়টি অধ্যয়ন করেছে এবং মাদ্রাসার কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের শিশুরা কীভাবে স্কুল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় তা নিয়ে গবেষণা করেছে, তাদের অধিকার লঙ্ঘনের বিশদ বিবরণ দিয়েছে। আমরা মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি এবং তাদের নিজ নিজ রাজ্যে মাদ্রাসা বোর্ডগুলি বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছি। যে উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, তা পূরণে এসব মাদ্রাসা বোর্ড ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসায় এখনো সোয়া কোটির বেশি শিশু রয়েছে, যাদের সঙ্গে মাদ্রাসা বোর্ডের কোনো সম্পর্ক নেই। মাদ্রাসা বোর্ডগুলি কেবল সরকারী অনুদান পাচ্ছে এবং অমুসলিম হিন্দু শিশুসহ ১.৯ থেকে ২০ লক্ষ শিশুকে শিক্ষা সহায়তার বিভ্রম তৈরি করার জন্য জায়গা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (সিপিসিআর) আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এনসিপিসিআর ভারত জুড়ে শিশুদের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব পালন করে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct