আপনজন ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ভাল ফল করতে পারেনি। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোট চলে গিয়েছিল কংগ্রেস-এনসিপি (শরদ পাওয়ার) ও উদ্ধব ঠাকরে জোটের দিকে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সংখ্যালঘুদের মন পেতে একনাথ শিন্ডে সরকার মাদ্রাসা শিক্ষকদের এক ধাক্কায় প্রায় তিন গুণ বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের তিন গুণ বেতন বাড়ানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে সংখ্যালঘু তহবিলে অর্থের পরিমাণও। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার এক বৈঠক হয়। সেখানে জনকল্যাণমূলক ৮০টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ৩৮টি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় রাজ্য সরকার। নানা প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে একটি হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো। মহারাষ্ট্রে ডিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মাসিক বেতন ছিল ছয় হাজারটাকা। সেটি বাড়িয়ে এখন ১৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএড ও বিএসসি বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন ৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে মাসে ১৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। মৌলানা আজাদ ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ৬০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব পেশ করেছে রাজ্য সংখ্যালঘু দফতর। এই অর্থ দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের বিভিন্ন কাজে ঋণ দেওয়া হবে। চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর শেষ হচ্ছে মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের মেয়াদ। তার আগেই অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন।
জাকির হুসেন মাদ্রাসা আধুনিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার মাদ্রাসাগুলিকে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে বলেছিল। মাদ্রাসায় বিজ্ঞান, গণিত, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, মারাঠি, হিন্দি ও উর্দু পড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা আরও একটি বড় সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘নন-ক্রিমি লেয়ার’ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য আয়ের সীমা বর্তমানের ৮ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct