আপনজন ডেস্ক: ম্যাচের তখন ৭৬ মিনিট। সতীর্থ ডনিয়েল মালেনকে পেতিপক্ষের এক খেলোয়াড় ফেলে দেওয়ার পর রেফারির দিকে এগিয়ে গিয়ে কিছু বলেছিলেন ভার্জিল ফন ডাইক। এ সময় ডাচ ডিফেন্ডার হলুদ কার্ড দেখেন। তিন মিনিট পর নিজেই বাজেভাবে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। প্রথমার্ধে হাঙ্গেরির বিপক্ষে এক গোলে পিছিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডস ফন ডাইকের লাল কার্ড দেখায় দশজনের দলে পরিণত হয়। বিপদে পড়া দলকে ৮৩ মিনিটে উদ্ধার করেন ডেনজেল ডামফ্রিজ। তার গোলে হার এড়িয়ে ডাচরা ১-১ গোলের ড্রয়ে মাঠ ছাড়ে।
নেদারল্যান্ডসের জার্সিতে প্রথমবার লাল কার্ড দেখা নিয়ে ৩৩ বর্ষী ফন ডাইক ম্যাচ শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই লাল কার্ড দেওয়াটা কোনো কাজের কাজ নয়। কোনোভাবেই এটা হওয়া উচিৎ হয়নি। বিশেষ করে প্রথম হলুত কার্ডটি নিয়ে আমি ক্ষুব্ধ।’
‘তারা বলেন যে, কেবলমাত্র অধিনায়ক গিয়ে রেফারির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। আমি তার দিকে এগিয়ে যাই। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ছিল। তবে মোটেও বাজেভাবে কিছু বলিনি আমি, একেবারেই না। খুবই শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। অধিনায়কও যদি কিছু বলতে না পারে, তাহলে তো কাজটা খুবই কঠিন।’
ম্যাচ শেষ ডাচ কোচ রোনাল্ড কোম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঐ মুহূর্তটি ছিল হতাশাজনক। আমার মাথায় তো কোনোভাবেই ঢুকছে না। আমরা তো সবাই একমত হয়েছিলাম যে, অধিনায়ক গিয়ে রেফারির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। যে ফাউলটি মালেনকে করা হয়েছে, তা লাল কার্ড পাওয়ার মতো ছিল। হাঙ্গেরির ফুটবলারের বল দখলের কোনো চেষ্টাই ছিল না। তার পর ভার্জিলকে দ্বিতীয় যে কার্ড দেখানো হলো, তা ঠিক নয়। সে নিজেও তা জানে।’
দশজনের দল হয়ে যাওয়ার পরও ড্রয়ে সন্তুষ্ট কোম্যানের ভাষ্য, ‘কোনো অবস্থাতেই আমরা হার মানতে প্রস্তুত ছিলাম না। ওয়ান-অন-ওয়ান খেলে আমরা সমতা ফিরিয়েছি। এরপর তারা বিপজ্জনক কিছু আক্রমণ করেছে, তবে আমরা খুব ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে পেরেছি। যেভাবে ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি আমরা, তাতে স্বস্তির অনুভূতিই পাচ্ছি। এমনকি ১০ জন নিয়েও আমরা আক্রমণাত্মক খেলেছি। আমি ভেবেছিলাম আমরা গোল করতে যাচ্ছি।’
নেদারল্যান্ডসের পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ জার্মানি। গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচের আগে দলের সেরা তারকাকে হারানো ডাচদের জন্য বড় এক ধাক্কা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct