সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড় সংখ্যালঘু মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকা প্রায়শই রাজনৈতিক মারামারিতে সরগরম হয়ে ওঠে। তবে ধর্মীয় কারণে উত্তাপ ছড়ায় না এখানে। হিন্দু-মুসলমান শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে আসছে। প্রতিবছরের মতো ২০২৪-শের শারদীয়া দুর্গোৎসব চলছে নির্বিঘ্নে।
“আপনজন” প্রতিনিধি পঞ্চমীর সন্ধ্যায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের গড়াইজুলি গোলদার পাড়ার সার্বোজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোয়। এখানে আরও কয়েকজন মুসলিম ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। আয়োজক হিন্দু সম্প্রদায় ও অতিথি মুসলমান সম্প্রদায়ের সকল বক্তাই ধর্মীয় সম্প্রীতি আরও মজবুত করার আহ্বান জানান। এদিন অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান পুজো কমিটির উপদেষ্টা ও প্রতিমা দাতা শিক্ষক কবি দীননাথ গোল্দার, সভাপতি সম্পাদক অভিজিৎ গোলদার, অষ্টপদ গোলদার, সহ সভাপতি মতিউর রহমান রা। এই পুজো এবছর একাদশ তম বর্ষে পদার্পণ করল। অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দীনবন্ধু পাল।
অপরদিকে প্রাণগঞ্জ অঞ্চলেরই কালিকাপুর সাধুখাঁ পাড়ার নারায়ণ সংঘের পুজো এবছর ৮৮ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে বলে “আপনজন” প্রতিনিধি কে জানান পুজো কমিটির উপদেষ্টা ইন্দ্রজিৎ সাধুখাঁ। তিনি বলেন, এবছরে আমাদের মূল ভাবনা ‘সাবেকি আনায় মার্তৃ আরাধনা।’ এখানে প্রতিমা নির্মাণ করেছেন কুমোরটুলির পটুয়া শিল্পী মোহন বাঁশী ও রুদ্র পাল, মন্ডপ নির্মাণ করেছেন শিল্পী যামিনী রায়। এখানে অবিভক্ত ভাঙড়ে সবচেয়ে ব্যায়বহুল প্রতিমা নির্মাণ হয়েছে বলে পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি। ১ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা ব্যায় করা হয়েছে প্রতিমা নির্মাণে। অষ্টমীর দিনে পুজো কমিটির পক্ষে থেকে পুটখালী আদিবাসী গ্রামে ৫০০ দুঃস্থদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct