সন্ন্যাসী কাউরী, পাঁশকুড়া, আপনজন: পুজোর আগেই নিম্নচাপজনিত প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারনে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ফুলচাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সে কারণে ফুলের দাম অনেকটা উর্দ্ধমুখী। পদ্ম, অপরাজিতা, গাঁদা, দোপাটি, রজনীগন্ধা সহ সমস্ত ফুলের দাম আকাশছোঁয়া। পূজার মুখে ফুলের দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে । সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, রাজ্যে শারদীয়া দুর্গাপূজায় পদ্ম সহ বিভিন্ন রকমের ফুলের ব্যাপক পরিমান চাহিদা থাকায় বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই পদ্ম সহ বিভিন্ন ফুল হিমঘরে মজুত করে ফুলব্যবসায়ীরা। অষ্টমী তিথিতে শুধুমাত্র এ রাজ্যে এক কোটি পদ্মের চাহিদা থাকে। একদিনে এই বিশাল বিশাল পরিমাণ চাহিদা মেটাতে ফুলব্যবসায়ীরা চাষীর কাছ থেকে পদ্ম সংগ্রহ করে ২০-২৫ দিন আগে থেকে হিমঘরে মজুত রাখে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপুল পরিমাণ ফুল নষ্ট হওয়ায় পদ্ম সহ সব ধরনের ফুলের বাজার স্বাভাবিক ভাবেই বেশ চড়া। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি দেশে বিদেশে ফুল সরবরাহ করে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা। পুজোর মুখে এই দুই জেলার বিভিন্ন ফুল বাজারে বেশ কয়েকগুণ দামে বিকোচ্ছে ফুল ।
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোলাঘাট, দেউলিয়া, কেশাপাট, আষাড়ী, পাটনা, পঞ্চমদূরগা, খুকুড়দহ প্রভৃতি ফুলবাজার সুত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার লাল গাঁদা ১০০ টাকা, হলুদ গাঁদা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। রজনীগন্ধা বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। পদ্ম প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গোলাপ ৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দোপাটি ৩০০ টাকা ও অপরাজিতা ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তিন ফুট সাইজের লাল গাঁদার মালা প্রতি পিস এর দাম ছিল ২০ টাকা, হলুদ গাঁদা মালার দাম ছিল ২৫ টাকা।
খাজুরী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সভাপতি অর্জুন সাউ বলেন, এবারে বন্যার ফলে খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে পূজো করতে হচ্ছে। বন্যার কারণে আমরা মানুষের কাছে সাহায্য চাইতেও যেতে পারিনি। এবছর জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বিশেষত এবছর ফুলের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে পুজোর অনেটা কাটছাঁট করতে হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct