এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এই বার্তাই দিয়ে চলেছে টাকি শহরের প্রাণের পুজো সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। এলাকার হিন্দু-মুসলিম মানুষের সমন্বয়ে এই প্রথম বছরই পদার্পণ করলো সর্বজনীন দুর্গাপুজো। এই পুজোয় শুধু চাঁদা দেওয়াই নয়, রীতিমতো পুজো কমিটিতে থেকে চাঁদা তোলা-সহ পুজোর সমস্ত কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে টাকি শহরের হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। ভিন্ন ধর্মালম্বী হলেও তারা প্রতিবছরের মতো এবছরও শারদীয়া উৎসবে শামিল হয়। বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা একটি প্রাচীন জনপদ টাকি। টাকি প্রানের শহরের পুজোর শুভ সূচনা করলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, বিধায়ক সপ্তর্ষী ব্যানার্জি , হাসনাবাদের সভাপতি আমিরুল ইসলাম , হাসনাবাদ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।এখানে টাকি শহর সর্বজনীন দুর্গাপুজোর যে কমিটি তৈরি হয়েছে, পুজো কমিটির সম্পাদক উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাপতি শাহানুর মন্ডল, পুজো কমিটির সভাপতি টাকি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী, পুজোর মূল উদ্যোক্তা এবং কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যুৎ দাস। তামিলনাড়ুর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি প্যান্ডেল। কুমারটুলি থেকে তৈরি হয়েছে প্রতিমা। এবারের পুজোয় খরচের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ টাকা। পুজো উদ্যোক্তরা সম্পাদক শাহানুর মন্ডল, সভাপতি ফারুক গাজী, কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যুৎ দাসরা জানান,এবছর দুর্গাপুজোর সমস্ত ভার সবাই মিলে একসঙ্গে বহন করেছি। মণ্ডপসজ্জা কিংবা আলোকসজ্জার কাজ বা প্রতিমার বায়না করা, সব কাজেই আমরা সবাই একসঙ্গে ছিলাম। সেজন্য দুর্গাপুজোর আয়োজন অনেক সহজ বলে মনে হয়েছে। শুধু কমিটিতে থাকা নন, পুজোয় চাঁদা দেয় এলাকার অন্যান্য মুসলিম পরিবারও। পুজোর ভোগ বিতরণের কাজেও হাত লাগান তাঁরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct