আপনজন ডেস্ক: সৌদি আরবে এক ফিলিপিনো শ্রমিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তিনি হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ফিলিপিন সরকার মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। নিহত ফিলিপিনো ব্যক্তির নাম ও অপরাধের বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি। কারণ তার পরিবার গোপনীয়তার অনুরোধ জানিয়েছে। এ মৃত্যুদণ্ড ঠেকানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে সফল হয়নি ম্যানিলা। সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপিনো শ্রমিকের মৃত্যুদণ্ড শনিবার কার্যকর করা হয়েছে। তিনি একজন সৌদি নাগরিককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ফিলিপিনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস মঙ্গলবার জানান, তার সরকার এই ‘দুঃখজনক’ মৃত্যুদণ্ড ঠেকানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি। আমরা (মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে) বহু বছর ধরে সব কিছু করার চেষ্টা করেছি।’ ফিলিপিনের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রচেষ্টার মধ্যে প্রেসিডেন্টের একটি আবেদনও ছিল। কিন্তু নিহতের পরিবার রক্তমূল্য হিসেবে প্রস্তাবিত অর্থ গ্রহণ করে ফিলিপিনোকে ক্ষমা করতে অস্বীকার করে। ফলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। সৌদি বিচারব্যবস্থায় হত্যার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারকে ‘দিয়া’ হিসেবে পরিচিত রক্তমূল্য নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এ আর্থিক ক্ষতিপূরণ মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প হিসেবে দেওয়া হয়। ‘পাঁচ থেকে ছয় বছর’ ধরে দুই দেশের মধ্যে এ মামলা নিয়ে আলোচনা চলছিল উল্লেখ করে মার্কোস বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, সেখানকার আইন খুব কঠোর। দৃশ্যত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায় টিকে গেছে এবং আমাদের একজনকে হারাতে হয়েছে।’ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ২০২৩ সালে সৌদি আরব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দিক থেকে চীন ও ইরানের পর তৃতীয় স্থানে ছিল। মার্কোস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি ওই শ্রমিকের মৃতদেহ ফিলিপিনে ফিরিয়ে আনার জন্য সহায়তা করবেন। কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগের কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লক্ষাধিক ফিলিপিনো শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct