নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক, আপনজন: মালদহের সুজাপুর বিধানসভার বিধায়ক ও কলকাতা উচ্চ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল গণির ব্যবস্থাপনায় শারদীয়ার দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে অসহায় দরিদ্র মানুষদের বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি। এদিন সোমবার সুজাপুর বিধানসভার নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত শত দরিদ্র মানুষদের শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও ধুতি সহ বাচ্চাদের বিভিন্ন রকমের পোশাক বিতরণ করেন। এছাড়াও সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুঘাট এলাকায় প্রায় দুইশত এবং জালালপুর অঞ্চলে প্রায় তিনশত দরিদ্র মানুষদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়াও আগামীকাল বিভিন্ন অঞ্চলে বস্ত্র বিতরণ চলবে। গোটা সুজাপুর বিধানসভা জুড়ে প্রায় পাঁচ হাজার বস্ত্র বিতরণ করা হবে। এদিনের বস্ত্র বিতরণে উপস্থিত ছিলেন, কলকাতা উচ্চ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও প্রাক্তন ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা সুজাপুর বিধানসভার বিধায়ক আব্দুল গণি, মালদা জেলা পরিষদ বন ও ভূমি কর্মদক্ষ আব্দুর রহমান, কালিয়াচক-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আলিউল সেখ, পূর্ত কর্মদক্ষ কামাল হোসেন, আইনজীবী আব্দুল আজিজ আল আমান, হায়দার আলী মোমিন, সামিজুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব মানেই দুর্গোৎসব। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সকল মানুষের মধ্যে আনন্দ ও উৎসাহ ভাগ করে নেওয়ার মহৎ সুযোগ। কারণ এটা শুধুমাত্র ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, সামাজিক সৌহার্দ্য সম্প্রীতির এক মেলবন্ধন। বছরের পর বছর ধরে এই দুর্গোৎসবে মানুষ একত্রিত হয়ে উৎসবের আনন্দকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়।
বিধায়ক আব্দুল গণি বলেন, আজকে আমাদের সুজাপুর বিধানসভা এলাকার সুজাপুর, যদুপুর ও জালালপুর অঞ্চলজুড়ে শারদীয়ার দুর্গোৎসব উপলক্ষে অসহায় দরিদ্রদের বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। বিশেষ করে সমাজের সেইসব মানুষদের জন্য, যাদের হয়তো পূজার আনন্দ উপভোগের মতো সামর্থ্য নেই, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুটা আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্যেই এই উদ্যোগ। যেসব মানুষ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, এত বড় একটা উৎসবে তাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারাটাই দুর্গাপূজার প্রকৃত মর্মার্থ। পূজার সময় নতুন বস্ত্র পরার যাদের স্বপ্ন ছিল, কিন্তু যাদের সম্ভব হচ্ছিল না, তারা নতুন বস্ত্র পেয়ে তাদের মুখে উৎসবের আনন্দ দেখতে পেলাম। যা মানুষের মধ্যে সুখ ও আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার একটি নিদর্শন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct