চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি, আপনজন: কুলতলি জয়নগরে স্কুল ছাত্রীর খুনের ঘটনার তদন্তে পুলিশের নজর ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও নিহত নাবালিকার বন্ধুর বয়ান। মনে করা হচ্ছে তদন্তের রহস্যভেদে এই দুই ই অস্ত্রই কাজে লাগাতে চলেছে পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরায় নাবালিকা ও অভিযুক্ত যুবককে একসঙ্গে দেখা না গেলেও, দু’জনকে মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে একই দিকে যেতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, নিহত নাবালিকার এক বন্ধুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যে মেয়েটি তাঁর বন্ধুকে একজনের সাইকেলে চেপে যেতে দেখেছিল। পুলিশের তদন্তে এও জানা গিয়েছে দুই বন্ধুতে টিউশন শেষে রোজ একসঙ্গেই ফিরত। শুক্রবারও একসঙ্গেই ফিরছিল।
ঐ মেয়েটি জানায়,চিপস কিনতে সে জয়নগরের মহিষমারি হাটের একটি দোকানে গিয়েছিল। তার কথায়, ‘তখন ও বলল আমি এগিয়ে যাচ্ছি। তারপর আমি চিপস কিনে যেই তাড়াতাড়ি বেরই ,ও বলল সাইকেলে চেপে বাড়ি যাবে। তারপর দেখলাম একজনের সাইকেলে উঠে ও বেরিয়ে গেল। ’এর পর থেকেই কুলতলির ওই নাবালিকার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষে শুক্রবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি খাল থেকে ঐ নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তের হদিশ পেতে কাজে লেগেছিল নিহত নাবালিকার বান্ধবীর বয়ান। অভিযুক্ত কে পাকড়াও করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় মহিষমারীহাটের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও। যে ফুটেজ দেখে রহস্যের জট খোলার চেষ্টা করছেন এই কেসের তদন্তকারী আধিকারিকরা। মহিষমারি হাটের একটি দোকানে কাজ করছিল অভিযুক্ত। বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ওই দোকানের সামনে দিয়ে নাবালিকাকে যেতে দেখা যায়। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, অভিযুক্ত রাস্তার দিকে তাকিয়ে খেয়াল রাখছিল কোন দিকে যাচ্ছে ঐ নাবালিকা। মেয়েটি বেরিয়ে যাওয়ার ঠিক চার মিনিট পরে সাইকেল নিয়ে ওই একই দিকে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। এর পর কী হয়েছে তা জানারই চেষ্টা করছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালী সোমবার বলেন, ‘অভিযুক্তকে আমরা সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পেয়েছি। খুনের মোটিভ কী তা জানতে ক্রমাগত জেরা করা চলছে,আর এই জেরার মাধ্যমে আরো কিছু তথ্য উঠে আসবে। ’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct