আসিফা লস্কর, কুলতলি, আপনজন: কুলতলি এলাকার ১০ বছরের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে রবিবার বিকেলে ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কুলতলীর কৃপাখালী এলাকায় একটি প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এই মিছিলে কয়েক হাজার আইএসএফের কর্মী সমর্থকেরা সামিল হন। এই মিছিল থেকেই স্লোগান ওঠে ওই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর জয়নগর। কৃপাখালি এলাকার বহু মানুষ এই মিছিলে সামিল হন। এলাকার মহিলাদের দাবি অভিযুক্তদের তাদের হাতে ছেড়ে দিক পুলিশ প্রশাসন অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে সাধারণ মানুষ। কার্যত চোখের জলে ভাসছে এখন কৃপাখালি এলাকা। এই বিষয়ে আইএসএফের চেয়ারম্যান তথা ভাঙড় বিধানসভার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী তিনি বলেন,এখানে মা-বোনেরা একটাই কথা বলছে বিচার চাই। ধর্ষণকারীরা এই সাহস পাচ্ছে কোথায়, তাদের বিরুদ্ধে যদি কোন পদক্ষেপ না নেয় পুলিশ প্রশাসন দৃষ্টান্তমূলক তাহলে এই ঘটনা আরো বাড়বে। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে। পুলিশ যদি অভিযোগ পাওয়ার পর স্বতঃস্ফূর্তভাবে তল্লাশি অভিযান এবং খোঁজাখুঁজি শুরু করত তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। যে পুলিশগুলোর গাফিলতির জন্য ১০ বছরের ওই ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার স্বীকার হয়ে নির্মমভাবে মরতে হলো সেই পুলিশগুলোর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা যদি সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে এলাকায় তল্লাশি চালাতো তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। এই ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, প্রয়োজনে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। এই ঘটনায় অবিলম্বে পুলিশ মন্ত্রী পদত্যাগ করুক। চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কার্যত সরগরম বাংলার রাজনীতি। অপরদিকে গ্রামের মানুষেরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে যে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক ফাঁসির জন্য। নির্যাতিতার সুবিচারের আশায় তাকিয়ে রয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct