আসিফা লস্কর, জয়নগর, আপনজন: টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কার্যত গতকাল থেকে দফাই দফাই বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগর থানার অন্তর্গত মহিষামারি হাট। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। গতকাল বিজেপির গতকাল থেকেই বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এবং সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জী জয়নগর এলাকায় কার্যত ঘাঁটি ঘেরে বসেছে নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে। পুলিশি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি এবং দীপ্সিতা ধরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ। রবিবার বিকেলে বামেদের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে জয়নগর থানা ঘেরাও করে একটি ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করা হয়। উক্ত এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দিপ্সিতা ধর। বাম তরুণ নেতা সায়ন ব্যানার্জি। বাম সংগঠনের পক্ষ থেকে জয়নগর থানায় বারুইপুর মহকুমারের এসডিপিও অতিব বিশ্বাসের হাতে একটি ডেপুটেশন তুলে দেন বাম সংগঠনের সদস্যরা, এর পাশাপাশি। মীনাক্ষী মুখার্জী ওনার বিরুদ্ধে পুলিশি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন,
আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে যদি লাশ কাটা ঘরে বাংলার মেয়েদের যাওয়া আটকে যায় তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আরো মামলা করুক। আমরা যা দাবী করছি, পুলিশ মন্ত্রী অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে জয়নগরের ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এর থেকে ভালো প্রমাণ আপনারা আর পাবেন না। হাইকোর্টের নির্দেশকে আমরা মাথা পেতে নেব। জয়নগরে ও একটা ঘটনা ঘটেছে এবং গোটা রাজ্যে প্রত্যেকদিন কোথাও না কোথাও এমনি ঘটনা ঘটছে পুলিশের ভূমিকা সেখানেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পুলিশ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তাই মানুষ থানা জ্বালিয়ে দিচ্ছে পুলিশ মার খাচ্ছে বিধায়ক পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই এলাকার মানুষ আরো সচেতন হয়ে উঠুক এবং আরো প্রতিবাদী হয়ে উঠুক যাতে এইরকম ঘটনা আগামী দিনে যাতে না ঘটে। এ বিষয়ে সিপিএমের অপর নেত্রী দীপসিতা ধর তিনি বলেন, পুলিশ বলছে যে পুলিশের কাজে আমরা বাধা দান করছিলাম ভালো হয়েছে পুলিশ ঠিকই বলেছে পুলিশের কাজ যদি তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হয় তাহলে আমরা বাধা দিয়ে ঠিক কাজ করেছি। পুলিশ যদি মৃতদেহ পাচার করা হয় এবং ধর্ষকদের বাঁচানো যদি পুলিশের কাজ হয় তাহলে ছাত্র যুব ও মহিলারা আবারো পুলিশকে কাজে বাধা দেবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে বলছেন, উৎসবে ফিরুন কিন্তু শহর থেকে শুরু করে গ্রামের মা বোনেরা নিরাপদ নয় মানুষ তাই উৎসবে ফিরেছে আন্দোলনের উৎসব নিজেদের নিরাপত্তার উৎসবে ফিরেছে। গ্রামের মা বোনেরা নিরাপদ নয় তা মায়ের পূজো হবে কি করে? আগে গ্রামের মা বোনেদের নিরাপদ করুক তারপর তো মায়ের পুজো হবে। আমরা আশঙ্কা করছিলাম যে ছোট্ট ১০ বছরের মেয়েটির তা সঠিক বিচার পাবে না তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা পুলিশ প্রশাসন করবে তাই আমরা বাধা দিয়েছি আমরা তাই মারাও খেয়েছি আমরা চাই ছোট্ট এই মেয়েটি যাতে সুবিচার পায়। আইনজীবী তথা বাম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি বলেন খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় পক্সো আইনে মামলার রুজু করেনি পুলিশ প্রশাসন। পরিবারের তরফ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা আইনি সাহায্য করব যাতে পরিবার সঠিক বিচার পায়। ছোট্ট ওই নাবালিকার সুবিচারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন আরো বৃহত্তর হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct