আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গার দুর্গাপুজো সংগঠকদের মধ্যে স্থান পেয়ে থাকেন মুসলিমরাও। চেতলার অগ্রণী সংঘের পুজো কমিটির কর্ণধার ফিরহাদ হাকিমের মতো ব্যক্তিরা সেটাকে সম্প্রীতির বাংলা বলে উল্লেখ করে থাকেন। কিন্তু ভিন্ন চিত্র মধ্যপ্রদেশে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ভাওয়ারকুয়া এলাকায় বহু দিন ধরে নবরাত্রি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘গরবা’-র আয়োজন করে আসছেন ফিরোজ কান নামে এক মুসলিম। সেই গরবা অনুষ্ঠান সফল করতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজকদের ছবি ও নাম সহ ব্যানারে প্রচার চালানো হয়। তাতে যাদের ছবি দেওয়া হয় তাদের প্রায় সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের। মাত্র একজন মুসলিম ফিরোজ খানের নাম ছিল, যনি অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক। আর সেটাই বিক্ষোভের কারণ হয়ে ওঠে বজরং দলের। বজরং দল এ নিয়ে অভিযোগ তোলে যিনি মূর্তি পূজায় বিশ্বাস করেন না, তিনি কীভাবে যথাযথ আচার-অনুষ্ঠান করে ন’দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে পারেন? বজরং দল পুলিশের কাছে তাদের আপত্তির কথা জানায়। ভাওয়ার কুঁ থানার ইনচার্জ (টিআই) রাজকুমার যাদব জানিয়েছেন, বজরং দলের কর্মী রামেশ্বর ডাঙ্গি অভিযোগ করেন ভাবনানগরে ‘শিখর গরবা মণ্ডল’ নামে ফিরোজ খানের আয়োজনে বেশ কয়েক বছর ধরে এই অনুষ্ঠান চলে আসছে। আসলে তা লাভ জিহাদের প্রচারের জন্য। তাই এই অনুষ্ঠান বন্ধ করা দরকার। তাদের সেই আপত্তির কারণে বুধবার নবরাত্রির প্রথম দিনে ভাওয়ারকুয়া এলাকায় নির্ধারিত অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয় পুলিশ। এমনকী অনুষ্ঠানস্থল থেকে পোস্টার এবং প্যান্ডেল সামগ্রী সরিয়েও দেয় তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct