আজিজুর রহমান , গলসি আপনজন: বারো বছর ধরে দুর্ভোগে জীবন কাটাচ্ছেন গলসি ১ নম্বর ব্লকের পোতনা পুরসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দুটিয়া গ্রামের হাজার খানেক মানুষ। অভিযোগ, তাদের যাতায়াতের মুল রাস্তাটি এখনও কাঁচা রয়েছে। পাকা না হওয়ার তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সমস্যায় পরছেন রোগী, প্রসূতি সহ স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা। এদিকে, পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পাড়ার অলিগলির রাস্তা ঢালাই করা হলেও, বাগদি পাড়া, বেনে পাড়া, নাপিত পাড়া এবং বামুন পাড়ার মানুষজন এই সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত রয়েছেন বলে দাবী করেছেন অনেকেই।
গ্রামবাসী সুকান্ত ভট্টাচার্য আক্ষেপ করে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে বলার কেউ নেই। ভোট আসলে প্রার্থীরা আসেন। ভোট চলে গেলে তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। পঞ্চায়েত সদস্যকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, হচ্ছে হবে। দরখাস্ত জমা হয়েছে। তবে এখনও প্রযন্ত লাভ কিছু হয়নি। বৃষ্টি হলেই বিপদ”, পাড়ায় প্রবেশ ও বাহির হওয়া দুস্কর হয়ে পরে। “ তিনি জানান, বড় বাগদি পাড়ার ক্লাব থেকে বেনেপাড়া, আগুরিপাড়া, নাপিতপাড়া হয়ে বামুন পাড়ার ক্যানালের বাঁধ পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। যেটি কিছু কম ১ কিমি দীর্ঘ হবে। রাস্তার জন্য প্রসূতি ও রোগী নিয়ে চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাঁর দাবি, দ্রুত ড্রেনসহ রাস্তাটি পাকা করা উচিত।
সুরজিৎ কর্মকার নামে আরও এক গ্রামবাসী জানান, সিপিআইএম আমলে রাস্তায় টোল ছিল এবং তখনই মোরাম পড়েছিল। এতদিনে সব উঠে গেছে। তারও দাবী, “বৃষ্টি হলে বড় বড় গর্তের কারণে জল জমে থাকে।
গ্রামের ছাত্র ছাত্রীরা সমস্যায় পরে। রাস্তা খারাপের জন্য পাড়ায় অ্যাম্বুলেন্সও আসতে চাইনা। পাড়ায় একটা অঙ্গনওয়ারী স্কুলও রয়েছে। সরকারের কেউই বিষয়টি নিয়ে কেউই গুরুত্ব দেননা। খোকন সোম নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি, তবুও আমরা মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত”। চারটি পাড়ার কমবেশি এক হাজার মানুষ ওই রাস্তায় যাতায়াত করেন। আমাদের গ্রামের বহু অলিগলি রাস্তা পাকা হয়েছে। তবে আমাদের এই রাস্তাটির উপর কারও নজর নেই। তার কথায়, ‘’রাস্তার মোরাম উঠে মাটি ও কাদা মিশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে”। আমাদের কষ্ট হলেও কেউ ভাবেনা। বর্তমান বর্ষায় একটু মোরাম দিয়ে ডোবাগুলি বুজিয়ে দিলেও উপকৃত হতাম। বিষয়টি নিয়ে পোতনা পুরসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আরতি বাগদি জানিয়েছেন, “ওটা বেশ বড় রাস্তা, তাই আমরা পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটি ধরিয়ে রেখেছি। “অর্থ বরাদ্দ হলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে”। তবে ডোবাগুলি বন্ধ করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখছি। বিষয়টি বিডিও স্যারকে জানাচ্ছি।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct