আপনজন ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি, নাকি টি-টেন—কোনটি খেলছে ভারত? গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে ভারতের ব্যাটিং দেখে এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জেগেছে। এমন ব্যাটিং করে দলীয়ভাবে টেস্টে দ্রুততম ৫০, ১০০ ও ১৫০, ২০০ ও ২৫০ রান তোলার রেকর্ড গড়েছে ভারত। শেষ পর্যন্ত ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা। নিয়েছে ৫২ রানের লিড। বৃষ্টির কারণে আড়াই দিনের বেশি সময় খেলা না হওয়ার পর গতকাল চতুর্থ দিনে বল মাঠে গড়ায়। কার্যত সোয়া দুই দিনে নেমে আসা টেস্টে ফল বের করে আনার জন্যই ভারতের অমন ঝোড়ো ব্যাটিং। তা টি-টেনসুলভ ব্যাটিংয়ের জন্য ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ব্যাটিং লাইনআপে কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। রোহিত তথা ভারত দলের সেই ট্যাকটিকস খুব একটা ভালো লাগেনি কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারের। উদ্বোধনী জুটিটা ঠিক রেখেছিল ভারত। ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন রোহিত ও যশস্বী জয়সোয়াল। তিন নম্বরেও যথারীতি শুবমান গিলই ব্যাটিংয়ে নামেন। তবে চার নম্বরে বিরাট কোহলিকে না নামিয়ে ভারত ব্যাট করতে পাঠায় ঋষভ পন্তকে। উদ্দেশ্য ছিল, টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং করে পন্ত দ্রুত রানের চাকা ঘোরাবেন। কিন্তু পন্ত সেটা পারেননি। সাকিব আল হাসানের বলে হাসান মাহমুদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১১ বলে ৯ রান করেছেন পন্ত। কোনো চার বা ছয় মারতেও পারেননি তিনি। পন্তের আউটের পর পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন কোহলি। সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৪টি চার ও ১ ছয়ে ৪৭ রান করেছেন তিনি। দিনের খেলা শেষে জিওসিনেমায় ভারতের ট্যাকটিকসের সমালোচনা করে গাভাস্কার কথাটা বলেছেন এভাবে, ‘কথা হচ্ছে এমন একজনকে নিয়ে, যে কিনা চার নম্বরে ব্যাট করে টেস্টে ৯০০০ রান করেছে।’ গতকালের ৪৭ রানের ইনিংসের পর ১১৫ টেস্টে ৪৮.৭৩ গড়ে কোহলির রান হয়েছে ৮৯১৮। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে পাঁচ, ছয় বা সাত নম্বরেও ব্যাটিং করেছেন কোহলি। কয়েকটা ম্যাচে তিনি তিন নম্বরেও ব্যাট করেছেন। ২০১১ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়া কোহলি চার নম্বরে প্রথম ব্যাটিং করেন ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর এই পজিশনেই নিয়মিত ব্যাট করে আসছেন কোহলি। জোহানেসবার্গের ওই ইনিংসের পর গতকাল নিয়ে মাত্র ১২টি ইনিংসে কোহলি ৫ নম্বরে ব্যাট করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct