নিজস্ব প্রতিবেদক , ভাঙড় আপনজন: ভাঙড় থেকে ‘গদ্দার’ চিহ্নিত করার বার্তা দিলেন রবিবার তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। সঙ্গে নাম না করে তৃণমূলের একাংশকে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’ বলেও তোপ দাগলেন তিনি। রবিবার ভাঙড়ে তৃণমূলের সভা থেকে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘নিজের দলের গদ্দার চিহ্নিত করতে হবে’। তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার গ্রহণযোগ্যতা মেনে নিতে না পারলে তা কোনও মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যা, এমন মন্তব্যও করতে শোনা যায় এদিন সায়নীকে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একবারও ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলামের নাম মুখে আনেননি তিনি। কিন্তু ভাঙড়ের রাজনীতিতে শওকত মোল্লা এবং আরাবুল ইসলামের ‘তিক্তটার’ সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। এই প্রেক্ষাপটে তাঁর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রবিবার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে কর্মিসভার আয়োজন করেছিলো তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। এ দিন তিনি বলেন, ‘যাঁরা নির্বাচনের সময় দলের পিঠে ছুরি মেরেছে আগে তাঁদের চিহ্নিত করা হোক তার পরে আইএসএফ, বিজেপি। আগে দলে থেকে যাঁরা গদ্দারি করছেন তাঁদের বাছাই করুন।’পাঁচ মাস পরে সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। গত শুক্রবার ভাঙড়ের ভোজেরহাট এলাকায় তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত লালুবাবু মোল্লার অফিসে ভাঙচুর করা হয়। এর পরেই আরাবুলের অভিযোগ ছিল, শওকত মোল্লার নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।এদিন সাংসদ সায়নী এও বলেন, ‘কথায় রয়েছে ঘর শত্রু বিভীষণ। ছাঁকনি বাইরের থেকে করার আগে ভেতর থেকে করা প্রয়োজন।’ তবে পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আরাবুল প্রকাশ্যে শওকতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শুনে এই সাংসদের মন্তব্য, ‘আরাবুল দল বিরোধী কাজ করছেন। শওকত মোল্লা ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে দল থেকে পরিবারে পরিণত করেছেন। তিনি ভাঙড়ের একজন অভিভাবক।তাঁর এইগ্রহণযোগ্যতা মানতে যদি কারও কষ্ট হয় এটা তাঁর সমস্যা।’শওকত মোল্লা এ দিন বলেন, ‘গদ্দার চিহ্নিত করার কথা দল রাজ্যজুড়ে বলছে। যাঁরা দলের নাম বিক্রি করছে তাঁরা গদ্দারই।’ যদিও সায়নীর মন্তব্য নিয়ে আরাবুলের প্রতিক্রিয়া, ‘সাংসদ ভাঙড়ের পরিস্থিতি জানলে বুঝতে পারতেন।’আর এদিনের সায়নীর এই বক্তব্য ঘিরে সরগরম গোটা রাজ্যে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct