আপনজন ডেস্ক: দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে এক হিন্দুত্ববাদী যুবক শনিবার এক মুসলিম সবজি বিক্রেতাকে তার মুসলিম পরিচয় জানার পর গালাগালি ও মারধর করেছে। তার ফেসবুক প্রোফাইল অনুযায়ী, হামলাকারী বিজেপি গোষ্ঠীর প্রাক্তন নেতা। আক্রান্তের নাম শেহরোজ। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। ওই হামলাকারীর নাম অনশুল দধিচ।
এই ঘটনার একটি ভিডিও রেকর্ড করা হয় এবং অভিযুক্ত নিজেই সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় অপলোড করে, সম্ভবত তার ‘কৃতিত্ব’ দেখানোর জন্য। তবে এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই শনিবার দধিচকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভিডিওতে দেখা যায়, দধিচ সবজি বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করছেন যে তিনি কোথা থেকে এসেছেন এবং তিনি কি মোল্লা (মুসলিম)?
শেহরোজ নিজেকে মুসলিম বললে দাদিচ তাকে ‘বাংলাদেশি’ বলে কড়া চড় মারেন। নির্যাতিত যুবক জানিয়েছেন, তিনি ভারতীয়। এরপর দধিচ তাকে তার ধর্ম পরিচয় দিতে প্যান্ট খুলতে বাধ্য করেন। কেউ বিক্রেতাকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ‘মোল্লা’ এবং তাকে আবার চড়-থাপ্পড় মারেন। গ্রেফতারের পর দধিচের দুঃখ প্রকাশের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ভিডিওতে তিনি জানিয়েছেন যে তাঁর ঘুমের কিছু সমস্যা ছিল এবং ভবিষ্যতে তিনি আর এই কাজ করবেন না।
নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দাহদিচ নিজেকে বিজেপির প্রাক্তন দলনেতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। গলায় বিজেপির পতাকার পাট্টা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক বালমুকুন্দ আচার্যের সঙ্গে ছবি তুলেছেন তিনি। এই ঘটনা সামনে আসতেই
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, রাজস্থানে বিজেপি শাসন করছে বলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, বিজেপিকে ভোট দিলে এটাই পাওয়া যায়। হরিয়ানা থেকে সাবধান, সাবধান। সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে বলেন, এটা হিন্দুত্ব নয়। এটা স্রেফ একজন সহনাগরিকের প্রতি ঘৃণা এবং সত্যিকার অর্থেই দেশদ্রোহী।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন এই ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct