সাবের আলি , বড়ঞা আপনজন: স্বামীর ঘরে থাকতে চেয়ে ছেলেকে মেয়েকে সাথে নিয়ে ধরনায় বসলেন মহিলা। শনিবার সকাল আটটার সময় ওই গৃহবধূ তার স্বামীর ঘরে থাকতে চেয়ে বড়ঞা থানার কুলি চৌরাস্তা মোড়ে। দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর ইলেকট্রিক দোকানের সামনে ধর নাই বসেন। ওই গৃহবধূর নাম দীপিকা দাস। বাড়ি বড়ঞা থানার পাঁচথুপি গ্রামে। তিনি বলেন দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের দুটি সন্তানও আছে। তবে গৃহবধূর অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর স্বামী অন্য একটি মহিলার সঙ্গে সংসার করেন। তাই পাঁচ বছর ধরে সাংসারে টাকা পয়সা কিচ্ছু দেয় না। আমি এই বিষয়ে গ্রামে অনেকেই জানিয়েছি। কিন্তু কিছুতে কিছু হচ্ছে না। তাই আজ আমি স্বামীকে ফিরে পেতে ধরণায় বসেছি। ওই গৃহবধূকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরই বাড়িতে স্বামীর কাছে থাকতে চেয়ে ধরনায় বসেন। ঘটনায় বড়ঞ থানা এলাকার শোরগোল পড়েছে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বড়ঞা থানার পুলিশ। যদিও পুলিশ আসার আগে চম্পট দেয় ওই যুবক। যুবকের নাম হেমন্ত দাস বাড়ি বড়ঞা থানার রুহিনা গ্রামে। প্রায় ১৫ ‘বছর আগে ওই গ্রামের হেমন্ত দাসের সঙ্গে বড়ঞ থানার পাঁচথুবী গ্রামের বাসিন্দা দীপিকা দাসের বিয়ে হয়। এদিকে কিছুদিন ধরে ভাড়া বাড়িতে অন্য মহিলাকে নিয়ে থাকেন হেমন্ত । অভিযোগ,কিছুদিন থেকে গৃহবধু তার স্বামী হেমন্ত দাসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখতে পারছেন না। । হেমন্তকে মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরছেন না। এরপর এদিন হলদিয়া ফারাক্কা বাদশাহী সড়কের পাশে ওই গৃহবধূ স্বামীর ফিরে পেতে ধরণা বসেন। কুলি চৌরাস্তা এলাকায় হেমন্ত দাসের ইলেকট্রিক দোকানে আছে । দুই সন্তানকে নিয়ে ধরনায় বসেন ওই গৃহবধূ। এইভাবে দোকানের সামনে বসে থাকতে দেখে এলাকায় মানুষ ভিড় জমায়। যদিও ওই যুবকের মা ছায়া দাস, বলেন ওই মেয়েটাকে ছেড়ে দিতে হবে। আমি ওর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিইনি। বড়ঞা থানার পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct