সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া আপনজন: কথা ছিল জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য সরকারি প্রকল্পে গ্রামের উপযুক্ত স্থানে খনন করা হবে নলকূপ। কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতাবলে সেই নলকূপই খনন করা হল পঞ্চায়েত সমিতির খোদ বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষর শ্বশুরবাড়িতে। এমন অভিযোগেই আপাতত শোরগোল পড়েছে বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের নিয়াশা গ্রামে। একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী শালুকা গ্রামেও। এই দুটি নলকূপ খননে বেনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনার তদন্তের দাবীতে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। লিখিত ভাবে অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের ভেদুয়াশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে সরকারি প্রকল্পের টাকায় চারটি নলকূপ খননের নির্দেশিকা জারি হয়। কথা ছিল শালুকা গ্রামে জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী জায়গায় এবং নিয়াশা গ্রামে উদয় মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে খনন করা হবে। কিন্তু সম্প্রতি গ্রামবাসীরা দেখেন নিয়াশা গ্রামে একটি নলকূপ খনন করা হয়েছে নিয়াশা গ্রামে দুলাল মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ দুলাল মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে ইন্দপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ কৃপাসিন্ধু পন্ডার শ্বশুর হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তিনি সরকারি প্রকল্পের টাকায় নিজের বাড়িতে ওই নলকূপ খনন করিয়েছেন। তবে শুধু নিয়াশা গ্রামেই নয় পার্শ্ববর্তী শালুকা গ্রামেও সরকারি প্রকল্পের নলকূপ খনন করা হয়েছে স্বপন লোহার নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। পাশাপাশি দুটি গ্রামে নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে এই বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন দুটি গ্রামের বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের দাবীতে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে ইন্দপুরের বিডিওর কাছে। তদন্তের দাবীতে সরব হয়েছে ভেদুয়াশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী সদস্যরাও। অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার তদন্তে নেমেছে ব্লক প্রশাসন। যদিও তৃনমূল পরিচালিত ভেদুয়াশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পুরোপুরি অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। শ্বশুরবাড়িতে খনন করা টিউবওয়েলটি সরকারী প্রকল্পে নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে খনন করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন ইন্দপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ কৃপাসিন্ধু পণ্ডা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct