সঞ্জীব মল্লিক ,বাঁকুড়া আপনজন: বাঁকুড়ার ব্যক্তি বানালেন একটি ছোট্ট ইভি বাস, বা ইলেকট্রিক বাস। দু’দিক খোলা এই টোটোর মতো দেখতে ইলেকট্রিক চারচাকা বাস আকারে একটি সাধারণ টোটো থেকে প্রায় দুগুণ বড়। আরাম করে বসতে পারবেন প্রায় ১৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। বাচ্চারা হলে ২৫ থেকে ৩০ টি বাচ্চা অনায়াসেই বসতে পারবে এই ইলেকট্রিক বাসে। বাঁকুড়ার বাসিন্দা চঞ্চল সিং বানিয়েছেন এই ইলেকট্রিক বাস। এর আগে তিনি বানিয়ে ছিলেন ইলেকট্রিক জিপ এবং ইলেকট্রিক টোটো। এবার বানালেন ইলেকট্রিক বাস। চঞ্চল সিং জানান, “ইলেকট্রিক বাস অর্ডার নিয়ে বানিয়েছি। একটি চারচাকা গাড়ি যেখানে বসতে পারবেন প্রায় ১৬ জন। ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চ গুণগত মানের মেটেরিয়াল।”
এই ইলেকট্রিক বাসটিকে শক্তি যোগাচ্ছে একটি লিথিয়াম ব্যাটারি, যার ওয়ারেন্টি থাকছে পাঁচ বছর। চঞ্চল সিং জানান একটি লিথিয়াম ব্যাটারির জীবন চক্র হয়ে থাকে প্রায় ১২ থেকে ১৪ বছর। মাত্র ৩ থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে গাড়িটি ফুল চার্জ হয়ে যাবে। একবার চার্জে এই গাড়ি চলতে পারে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। রয়েছে ডিসক এবং ড্রাম ব্রেক। গাড়িটির দেহ বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে “স্টিল”। ব্যবহার হয়েছে উচ্চ গুণগত মানের চাকা। “সাসপেনশনের” উপর দেয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। কেউ যদি অর্ডার দিয়ে এই গাড়ি কিনতে চান তাহলে তার মূল্য হল সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা।
বাঁকুড়া জেলার নামের পাশে প্রান্তিক শব্দটি আমরা দেখতে পাই। তবুও বছরের পর বছর নানা রকম প্রতিকূলতা এবং প্রতিঘাত সামাল দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্দান্ত ফল করেছে বাঁকুড়া জেলা। সাম্প্রতিক উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও বাঁকুড়া জুড়ি মেলা ভার। সোলার গাড়ি থেকে শুরু করে, যারা চোখে দেখতে পান না তাদের জন্য লেসার চশমা হোক অথবা চঞ্চল সিং এর তৈরি করা বিশাল ইলেকট্রিক বাস। ভাবনা এবং শিক্ষাকে আলিঙ্গন করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রান্তিক বাঁকুড়া।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct