চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্দিরবাজার, আপনজন: নিম্নচাপের প্রভাবে এবারের পুজোটা কিছুটা ম্লান হলেও এই পুজোর আগে মন্দিরবাজারের মহেশপুরে সকলের মুখে হাসি ফোটায় শোলার ফুল। এই গ্রামের ৮০ শতাংশ মানুষ শোলার কাজের সঙ্গে যুক্ত। শোলার তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরির পর তা পাঠানো হয় বাইরে। এই গ্রামের বিশেষত্ব শোলা। পুজোর আগে এই শোলা গ্রামে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা।মন্দির বাজারের মহেশপুরের অধিকাংশ বাসিন্দা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। শোলার ফুল, গয়না তৈরি করেন তাঁরা। মহেশপুরের আশেপাশের আর ও ৪ থেকে ৫ টি গ্রামে এই কাজ হয়। শোলা শুকনো করা থেকে শুরু করে শোলা কাটা সহ একাধিক কাজ করেন তাঁরা। শুধুমাত্র ফুল নয় সেখানে তৈরি হয় বিভিন্ন খেলনা, পাখি,মুকুট সহ আরও অনেক দ্রব্য।এ বিষয়ে শুকদেব হালদার নামের স্থানীয় এক শোলা শিল্পী জানান,গ্রামের মানুষ জনের উপার্জনের প্রধান মাধ্যম শোলার কাজ করা। তাঁদের এই কাজের চাহিদা রয়েছে সর্বত্র।সারাবছর এই শোলার কাজ চলে এলাকায়। তবে পুজোর সময় শোলার কাজ বেশি হয়।এ ব্যাপারে রমেন ঘোষাল,নিমাই হালদার, হরিপদ হালদার সহ কয়েকজন শোলা শিল্পী বলেন, গ্রামের মানুষ জন শোলার বিভিন্ন রকমের কাজ করেন। সবাই একরকম কাজ করেনা। এই অঞ্চলের বহু মানুষ জন শোলার উপর নির্ভর করে পায়ের তলার মাটি শক্ত করে চলেছেন এখনো। তবে এবছর ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে ও কলকাতার তিলোত্তমার ঘটনার জেরে অনেক পুজো কমিটি এ বারে বাজেট কিছুটা কাঁটছাট করেছে।
আর তার জেরে কিছুটা হলেও ভারাক্রান্ত শোলার গ্রামের শিল্পীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct