নিজস্ব প্রতিবেদক, জলপাইগুড়ি, আপনজন: আবারো নিম্নচাপে গত দুদিনের বৃষ্টিতে শিলাবতী নদীর জল স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কাঠের সাঁকো ডুবছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে একাধিক গ্রামের। চরম চিন্তায় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন একাধিক এলাকায় শিলাবতি নদীর ভাঙ্গনে জল ঢোকার আশঙ্কা। শীলাবতী নদীর দুর্বল বাঁধ গুলি ভাঙার আশঙ্কা। ফলে দুশ্চিন্তায় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার শিলাবতী নদী এলাকায় কাঠের সেতুটি ডুবছে জলে। ঘাটাল ইতিমধ্যেই বন্যার জলে জলমগ্ন ।আবারো এই জল গিয়ে পড়বে ঘাটালে। আবারো প্লাবনের আশঙ্কা ঘাটালবাসীর। পাশাপাশি কিছুদিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব এই নিম্নচাপের প্রভাবে মৃৎশিল্পী থেকে মন্ডপ শিল্পীরা চরম দুশ্চিন্তায়। প্রতিমা সঠিক সময়ে মন্ডপে পৌঁছতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। মন্ডপ শিল্পীরাও খুবই চিন্তিত সঠিক সময়ে মন্ডপ সজ্জা তুলে ধরতে পারবেন কিনা। ইতিমধ্যেই বাঁশ এবং কাঠামোর কাজ শেষের পর্যায়ে। নিম্নচাপের প্রভাবে বাড়ির মধ্যেই চলছে থিমের কারুকার্যের কাজ। প্রস্তুতি তুঙ্গে । অথচ অসুর হয়ে দাঁড়িয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। শাকসবজির দাম বেড়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টির ফলে। নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা ধান জমি। এদিকে,জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে অনবরত বৃষ্টি, ব্যাহত জনজীবন।গত বুধবার রাত থেকেই অনবরত বৃষ্টি জলপাইগুড়ি জেলা জুড়েই। একদিকে ধান চাষীদের ক্ষেত্রে সুবিধা হলেও সাধারণ পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে অনেকটাই সমস্যা বলে মনে করছেন অনেকেই। শুক্রবার সকাল থেকে অনবরত বৃষ্টির জেরে জেলার বিভিন্ন নদীগুলি ফুলে ফেঁপে উঠছে। পাশাপাশি হাওয়া অফিসের তরফে ইতিমধ্যেই হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct