আপনজন ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেসিপি) শুক্রবার আহমদাবাদে যায় এবং গুজরাতে ওয়াকফ বোর্ড এবং রাজ্য সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে। প্যানেল সদস্যরা শুক্রবার সকালে রাজধানীর তাজ স্কাইলাইনে পৌঁছন এবং বেশ কয়েকটি সভা করেন। বিভিন্ন দলের কর্মকর্তা এবং নেতারা উপস্থাপনা এবং স্মারকলিপির মাধ্যমে তাদের মতামত এবং সংরক্ষণ উপস্থাপন করেন।
বৃহস্পতিবার থেকে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু ও কর্নাটকসহ বিভিন্ন সফর শুরু করেছে জেপিসি। আগামী ১ অক্টোবর এ সফর শেষ হবে।
শুক্রবার আহমেদাবাদে ২০ সদস্যের জেপিসির একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছিল, যেখানে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সম্ভাব্য সুবিধা এবং প্রভাবগুলি তুলে ধরা হয়। অধিবেশনে গুজরাট ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের মতো মূল অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যা আলোচনাকে আরও তীব্র করে তোলে।
সূত্রের খবর, আমেদাবাদে জেপিসি-র বৈঠক চলাকালীন প্যানেলের সদস্য অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভির মধ্যে তীব্র বাক্য বিনিময় হয় সুরাট পৌর কর্পোরেশন ভবন নিয়ে। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে সুরাটের সোদাগরওয়াড়ের বাসিন্দা আবদুল্লাহ গুজরাট স্টেট ওয়াকফ বোর্ডের কাছে মুঘলসরাই নামে পরিচিত একটি সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন চেয়ে আবেদন করেন। সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অফিস স্পেস থাকা ওই সম্পত্তিকে ওয়াকফ জমি বলে দাবি করা হয়েছিল। ১৮৬৭ সাল থেকে বিতর্কিত সম্পত্তির দখলে রয়েছে সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
এই বিষয়টি নিয়ে পরে এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভির মধ্যে মৌখিক বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে উত্তেজনার সূত্রপাত করে। উপস্থিত ছিলেন জামালপুর-খাড়িয়া থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়ক ইমরান খেড়াওয়ালা। সূত্রের খবর, গুজরাটের ওয়াকফ বোর্ড ৪৫ হাজারেরও বেশি সম্পত্তির তদারকি করে, যার মধ্যে ৩৯ হাজারেরও বেশি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। বিস্তৃত তালিকায় কেবল কবরস্থান, মসজিদ এবং মাদ্রাসা নয়, আবাসিক বাড়ি, কৃষিজমি, দোকানপাট, প্লটও রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct