সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া আপনজন: বাঁকুড়া জেলায় এই প্রথম সরকারি উদ্যোগ ছাড়াই কোন সরকারি স্কুলে নিজেদের প্রচেষ্টায় ‘বায়োমেট্রিক হাজিরা’র কর্মসূচীর শুভ সূচন। শুভ সূচনা করেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি বসুমিত্রা পাণ্ডে।
শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকদের উৎকন্ঠার দিন শেষ। এবার থেকে বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা প্রবেশের সঙ্গে অভিভাবকদের নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সেই বার্তা পৌঁছে যাবে। বৃহস্পতিবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে এই স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের ‘বায়োমেট্রিক হাজিরা’র কর্মসূচীর সূচণা করলেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বসুমিত্রা পাণ্ডে। একই সঙ্গে তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এখানে দূর দূরান্ত থেকে পড়ুয়ারা আসে, ফলে সংশ্লিষ্ট ছাত্র বা ছাত্রী ঠিক মতো স্কুলে পৌঁছালো কি না তা নিয়ে অভিভাবকদের উৎকন্ঠার মধ্যে থাকতে হয়। সংশ্লিষ্ট সকলের কথা ভেবে স্কুলের নিজস্ব তহবিল থেকে ‘বায়োমেট্রিক হাজিরা’ পদ্ধতি চালু হলো বলে জানানো হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগে খুশী অভিভাবকেরাও। অভিভাবক রাজশ্রী নন্দী বলেন, এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। এবার থেকে ছেলে মেয়েদের স্কুলে পোঁছানো নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। বাড়িতে বসেই গতিবিধি জানা সম্ভব বলে তিনি জানান।
বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি বসুমিত্রা পাণ্ডে কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেদের প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ নিয়েছে। জেলার মধ্যে সরকারী স্কুলে এই ধরণের পদ্ধতি প্রথম চালু হল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct