আপনজন ডেস্ক: বিহার জুড়ে তিন দিনব্যাপী ‘জীবিতপুত্র’ উৎসব উদযাপনের সময় নদী ও পুকুরে পুণ্যস্নান করতে গিয়ে ৩৭ শিশুসহ ৪৬ জন ডুবে মারা গেছে বলে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
মৃত ৪৬ জনের মধ্যে চারজন নারীও রয়েছেন। ২০২৩ সালে রাজ্যে ‘জীবিতপুত্র’ উৎসব উদযাপনের সময় মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই উপলক্ষে মহিলারা তাদের সন্তানদের মঙ্গলের জন্য উপবাস পালন করেন। তিন দিনব্যাপী এ উৎসব ‘নাহে খায়’ দিয়ে শুরু হয় এবং ভক্তরা এ উপলক্ষে নদী ও পুকুরে পুণ্যে স্নান করেন। বৃহস্পতিবার বিহার সরকারের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জিটিয়া’ বা ‘জীবিতপুত্র’ উৎসবের সময় রাজ্য জুড়ে নদী ও পুকুরে পুণ্যস্নান করতে গিয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন। বুধবার উৎসব চলাকালীন রাজ্যের ১৫টি জেলা থেকে এই মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, আরও তল্লাশি অভিযান চলছে। পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, ঔরঙ্গাবাদ, নালন্দা, কৈমুর, বক্সার, সিওয়ান, রোহতাস, সারন, পাটনা, বৈশালী, মুজফফরপুর, সমস্তিপুর, গোপালগঞ্জ ও আরওয়াল জেলায় ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঔরঙ্গাবাদে ৮ জন, কাইমুর ৭ জন, পাটনা, সারান, পূর্ব চম্পারণে ৫ জন করে, পশ্চিম চম্পারণে ৩ জন, রোহতাস ৩ জন, বৈশালী, সমস্তিপুর ও মুজফফরপুরে ২ জন করে, গোপালগঞ্জ ও আরওয়াল জেলায় ১ জন করে মারা গেছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং মৃতদের মধ্যে আটজনের পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যে তা পেয়েছেন।
সারনের জেলাশাসক আমন সমীর বলেন, আমরা বারবার মানুষকে অনুরোধ করছি যে শুধুমাত্র জেলা প্রশাসনের রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটগুলিতে যেন এই উৎসব পালন করা হয়। মেই সতর্কতা না মানায় এই বিপদের কারণ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct