আপনজন ডেস্ক: কলকাতায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে প্রতিবেশীকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। চকলেট খাইয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করেছিল ওই ব্যক্তি সাত বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করে বস্তার ভিতরে মৃতদেহ উদ্ধারের দেড় বছর পর কলকাতার একটি আদালত তার প্রতিবেশীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে। স্কটিশ দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার সময় বিশেষ সুরক্ষা সংস্থা পকসো আদালত এই রায় ঘোষণা করে বলেছে, দোষীদের প্রতি দয়া করা মানে নির্দোষের প্রতি নিষ্ঠুরতা। ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ সকালে কলকাতার তিলজলা এলাকার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই কিশোরী। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালায় এবং সেদিন সন্ধ্যায় এক প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের ভিতরে একটি বস্তার মধ্যে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। প্রতিবেশীকে অলোক কুমার শ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং তদন্তে জানা গেছে যে তিনি মেয়েটিকে চকোলেট অফার করার পরে অপহরণ করেছিলেন। এরপর তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করার আগে তাকে যৌন নির্যাতন করে।
এই ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং একটি পুলিশ স্টেশনও ভাঙচুর করে।
কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগ এই মামলার তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১৬ জুন চার্জশিট জমা দেয়। ২৪ শে জুলাই বিশেষ পকসো আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছিল। বুধবার কিশোরীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও খুনের দায়ে পৃথ্বীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। । এই বিচার চলাকালীন ৪৫ জনেরও বেশি সাক্ষীকে পরীক্ষা করা হয়েছিল।
আদালতের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্যের ভিকটিম কমপেনসেশন স্কিমের আওতায় নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে তারা বলেছে, সাত বছরের মেয়েটিকে যেভাবে যৌন নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে তা এই অপরাধকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনার পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct