সারিউল ইসলাম , মুর্শিদাবাদ আপনজন: প্রতিদিন পদ্মা নদীর জলস্তর ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জেরে ভগবানগোলা-১ ও ভগবানগোলা-২ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বেশ কিছু নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বহু কৃষিজমি এখন জলের তলায়। সোমবার ভগবানগোলার পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় প্লাবনের সতর্কতা জারি করে জেলা সেচ দপ্তর।
বুধবার ভগবানগোলা-২ ব্লকের আখরীগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মলচর, চর মনসুরপুর এবং ভগবানগোলা-১ ব্লকের হনুমন্তনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের টিকলিচর সহ বেশ কিছু প্লাবিত এলাকা নৌকার মাধ্যমে পরিদর্শন করলো প্রশাসনিক কর্তারা।
বুধবার বিকেলে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার, ভগবানগোলা-১ ব্লকের বিডিও নাজির হোসেন, ভগবানগোলা-২ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাহু, ভগবানগোলা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিরা বিবি, ভগবানগোলা ও রানীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, সেচ দপ্তরের আধিকারিক সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার বলেন, ‘আখরীগঞ্জের চর মনসুরপুর গ্রামের প্রায় দু’হাজার বাসিন্দা বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে।
গবাদি পশুর ক্ষেত্রে চারণভূমি না থাকায় অসুবিধা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
ভগবানগোলা-১ ব্লকের বিডিও নাজির হোসেন বলেন, ‘জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এখনো জল ওঠেনি। তবে কৃষি জমি পদ্মার জলে প্লাবিত হয়েছে। আমরা সবদিকে নজর রাখছি।’
ভগবানগোলা-২ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাহু বলেন, ‘কিছুদিন আগে বৃষ্টির সময় ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছিল চর এলাকায়। আমরা সবাই পদ্মা তীরবর্তী এলাকার পরিস্থিতি পরিদর্শন করলাম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তাদের নির্দেশমতো বাকি কাজ হবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct