সারিউল ইসলাম , মুর্শিদাবাদ আপনজন: নানা রকম জটিলতার কারণে পাঁচ বছর ধরে বন্ধ ছিল বিদ্যালয়ের মধ্যাহ্নকালীন আহারের রান্না। বুধবার ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, বিধায়ক এবং থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উপস্থিত থেকে মিড ডে মিল রান্নার কাজ শুরু করতে বলেন। পাঁচ বছর পর মধ্যাহ্নকালীন আহার করল পড়ুয়ারা। ভগবানগোলা-১ ব্লকের সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বসন্তপুর জুনিয়র হাইস্কুলের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে মিড ডে মিল কারা রান্না করবে তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। সেই দ্বন্দ্ব চলাকালীন সময় করোনার জন্য লকডাউন শুরু হয়ে যায়, তবে ২০২২ সালে বিদ্যালয় খুললেও দ্বন্দের জেরে মিড ডে মিল রান্না বন্ধ থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সকালে ভগবানগোলা-১ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নাজির হোসেন, ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার, ভগবানগোলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবাশীষ ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রোকেয়া বিবি সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত হন বিদ্যালয়ে। কড়া পুলিশি প্রহরায় মিড ডে মিলের রান্না শুরু করা হয়। রান্নার শেষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিজেরা মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে গুণগতমান পরীক্ষা করেন। প্রায় পাঁচ বছর পর বুধবার দুপুরে মিড ডে মিলে ডিমভাত খেয়েছে পড়ুয়ারা।
ভগবানগোলা-১ ব্লকের বিডিও নাজির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর একাধিকবার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং যাদের নিয়ে এই সমস্যাটা হয়েছিল তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সমস্যা আপাতত মিটে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পড়ুয়াদের মুখে আমরা মধ্যাহ্নকালীন আহার তুলে দিতে পেরেছি।’ ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার বলেন, ‘যেকোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন। গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে যে সমস্যা হয়েছিল, তার সমাধান হওয়ায় বাচ্চারা আনন্দের সাথে মিড ডে মিল খাচ্ছে। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের সমস্যা না হয়, সেদিকে আমাদের নজর থাকবে।’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক রথীন্দ্র নারায়ন দাস বলেন, ‘স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির পর প্রথমবারের মতো মিড ডে মিল খেতে পেয়ে খুশি বর্তমানে অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত পড়ুয়ারা। আশা করছি বিদ্যালয় নিজের ছন্দে ফিরে আসবে।’
জুনিয়র হাইস্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর সকল পড়ুয়া স্কুলে প্রথমবার মিড ডে মিল খেতে পেয়ে বেজায় খুশি। প্রত্যেকের মুখে আনন্দের ছাপ পড়লো বুধবার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct