সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: আন্তর্জাতিক স্তরে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত ইংরেজ আমলের শহর ক্যানিং। প্রতিদিনই ক্যানিংয়ের বুক থেকে লক্ষ লক্ষ দেশবিদেশের পর্যটক সহ সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন। ইংরেজ আমলের ক্যানিং শহর বর্তমানে আধুনিকতার সাজে সেজে উঠেছে।বিগত দিনের ঐতিহাসিক ক্যানিং শহরে গড়ে উঠেছে ঝাঁ চকচকে রাস্তা,ফুটপাথ,জলনিকাশী ব্যবস্থা এমনকি রাস্তার পাশে আলোর বাতিস্তম্ভ।বিগত দশ বছর আগের ক্যানিং শহর আর বর্তমান ক্যানিং শহর আকাশ পাতাল ফারাক।বেড়েছে যানবাহন,জনসংখ্যাও।তৈরী হয়েছে আধুনিক মানের বাসষ্ট্যান্ড,বিডিও অফিস,এসডিও অফিস, স্টেডিয়াম, মাতৃমা হাসপাতাল, বিনোদন পার্ক, সাধারণের যাতায়াতের জন্য ফুটপাথ,আধুনিক মানের শৌচালয়। এহেন ক্যানিং শহরের মাছের বাজার ও আন্তর্জাতিক স্তরে খ্যাত।ক্যানিং শহর থেকে মাছ,কাঁকড়া আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে যায়।
বিশেষ করে সুন্দরবনের সুস্বাদু কাঁকড়া জাপান, থাইল্যান্ড, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে এবং বিদেশের বাজারে সুন্দরবনের কাঁকড়া সহ মাছের চাহিদা প্রচুর।ক্যানিং শহর ঝাঁ চকচকে হলেও মাছ বাজারের নোংরা আবর্জনা এবং যাতায়াতের পথ নিয়ে সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন।বিশেষ করে বর্ষাকালে মাছ বাজারের রাস্তা নোংরা আবর্জনায় ভরপুর থাকে। ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ।এক কথায় মাছ বাজারের রাস্তা জঞ্জালের স্তুপ কিংবা ময়লা আবর্জনার ভ্যাট বললেও কম বলা হবে।ক্যানিং মাছ বাজার সম্পর্কিত এমন তথ্য পৌঁছায় ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাসের কাছে।ক্যানিংয়ের নামে কালিমালিপ্ত হোক এমনটা যাতে না হয় তার জন্য বিধায়ক এবং মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এমন ঘটনায় নড়ে চড়ে বসে।শুরু হয়েছে আধুনিক মানের মাছ বাজার গড়ে তোলার কাজ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct