সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: সাবির মল্লিকের খুনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি। আরজিকর কান্ডের দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে ক্যানিংয়ে রোড শো করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিং এর হেলিকপ্টার মোড় থেকে মিছিল শুরু করেন নওশাদ সিদ্দিকী। সে মিছিলে পা মেলান স্থানীয় মানুষরাও। মিছিল ক্যানিং ১ বিডিও অফিসের সামনে এসে শেষ হয়। প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রমা করে এই মিছিল।মিছিল শেষে পথ সভা করেন ভাঙড়ের বিধায়ক।মঙ্গলবার মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর যেভাবে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে আক্রমণ নেমে আসছে,আমরা তার প্রতিবাদ জানাই। শুধু তাই নয়, আরজিকর কাণ্ডে দোষী পুলিশ অফিসারদেরকেও শাস্তি দিতে হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন অন্যান্য রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় নিরাপদে কাজ করছেন।আর বাংলার শ্রমিকরা ভিনরাজ্যে কাজে গেলে তাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিনরাজ্যে যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে তারজন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। শুধু উদ্যোগ গ্রহণ করা নয়। ভিনরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে কথা বলে সেটা করতে হবে।আরজিকর কান্ড নিয়ে তিনি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্য সরকারের উপর। তিনি বলেন,রাজ্যে শাসকদল তিলোত্তমার বিচার চেয়ে রাজপথে মিছিল করছে। সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবী করছে। আর সুপ্রিম কোর্টে তিলোত্তমা কান্ডে জড়িতদের বাঁচাতে জনসাধারণের টাকায় ২০/২২ জন আইনজীবিকে সওয়াল করতে পাঠাচ্ছে। এমনটা লজ্জাজনক। এটা দুমুখো নীতি। এমনটা চলতে পারে না।এছাড়াও রাজ্য সরকার সাধু সাজতে চাইছে। তিলোত্তমা কান্ডে একাধিক প্রমাণ পত্র লোপাট করে মৃত দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। মুসলমান হলে কবর দেওয়া হতো। সেই কবর থেকে মৃতদেহ তুলে তদন্ত করা যেতো। হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে সেটা অসম্ভব। কারণ মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার পর প্রমাণ থাকে না। এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে রাজ্য সরকারের রাঘোব বোয়ালদের বাঁচানোর জন্য।তিনি দায়িত্ব নিয়ে আরো বলেন,রাজ্য সরকারের যদি সৎ ইচ্ছা থাকতো তাহলে নাটক চলতো না।
কারণ তিলোত্তমা কে হত্যা করার পর মৃত দেহ কে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রমাণ লোপাটের জন্য যা যা করণীয় তাই করা হয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের তরফে। এমনটা কলঙ্কজনক।আমরা চাই দ্রুত বিচার। কারণ বিচারের জন্য দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করা মানে ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া। তবে আমরা তিলোত্তমার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ময়দানে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
এদিন মিছিল চলাকালীন সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটের আগে কি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এটা কোন হলিউড নয়।এছাড়াও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতানেত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি পয়েন্টে পয়েন্টে কথা বলি। সেই কারণে দাদা দিদিদের জয়েন্টে জয়েন্টে লাগে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct